বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বত্রিশ সিংহাসন।

সকল সকল সময়েই নানা জাতীয় দ্রব্যে সুশোভিত থাকিত এবং সকল প্রজারই গৃহ ধন ধান্যে পরিপূর্ণ ছিল, কাহার কিছুমাত্র দুঃখ ও দুরবস্থা ছিল না, অতএব নগরের কোন স্থানে নৃত্য, কোন স্থানে সংগীত, কোনস্থানে ধর্মশাস্ত্রের আলোচনা কোন স্থানে দেবার্চনা দিবারাত্রই হইত। ভোজরাজের সভাতে বহুসঙ্খক মহা মহা পণ্ডিত উপস্থিত থাকিতেন। রাজা তাহাদের বিধানানুসারে রাজ্য কার্য পর্যালোচনা করিতেন।

 এই রাজার ক্রীড়া-কাননের সান্নিধ্যে এক কৃষকের ক্ষেত্র ছিল। ক্ষেত্রপতি উহাতে সশা বপন করিয়াছিল, কিয়কাল পরে তাবৎ ক্ষেত্র সশার লতা পল্লব ও ফল ফুলে অতিসুশোভিত হইল। কেবল কতকটা ভূমিতে বীজ অঙ্কুরিত হয় নাই, ঐ স্থানে ক্ষেত্রপাল এক মঞ্চ নিৰ্মাণ করিয়া উহাতে উপবেশন পূর্ব্বক ক্ষেত্র রক্ষা করিত। কিন্তু সে যখন যখন ঐ মঞ্চে আরোহণ করিত তখনি তাহার শরীর অহঙ্কারে পরিপূর্ণ হইত। এক দিবস ক্ষেত্রপতি মঞ্চের উপর দণ্ডায়মান হইয়া চতুর্দিক দৃষ্টি করিতে করিতে কহিল অরে কে আছিস, তোর এখনি রাজা ভোজকে দুর্গ হইতে আনিয়া দণ্ড দে। দৈবায়ত্ত তৎকালে ভোজরাজের এক কিঙ্কর ঐ পথ দিয়া গমন করিতে ছিল, কৃষকের এই সাহঙ্কার বাক্য শুনিতে পাইয়া তৎক্ষণাৎ তাহাকে মঞ্চ হইতে অবরোহণ করাইয়া। প্রথমতঃ তাহার মুখে চপেটাঘাত করিল, পরে কর্ণাকৰ্ষণ করিয়া একবার উঠা একবার বসা এই প্রকার