বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম পুত্তলিকা।
৭৯

ষের মধ্যে সেই নগরে উপস্থিত হইল। রাজা উপনীত হইয়া দেখিলেন বাদ্যধ্বনি ও মঙ্গলাচার হইতেছে, এবং রাজকন্যা পুষ্পমাল্য হস্তে ভ্রমণ করিতেছেন। যে সকল রাজনন্দন ঐ কামিনীর কামনায় আসিয়াছেন, তাহারা সকলে দণ্ডায়মান রহিয়াছেন, কাহারো সাহস হইতেছে না যে ঐ কটাহে ঝাপ দেন। যিনি প্রাণের আশা পরিত্যাগ করিয়া কটাহে পতিত হইতেছেন তিনি তখনি দগ্ধ হইয়া যাইতেছেন।

 এতাবদবলােকনে রাজা রাজকন্যার নিকটে যাইয়া কিয়ৎক্ষণ তাহাকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। তাহার দেবতুল্য রূপ দর্শনে বিমােহিত হইয়া কহিলেন যাহার গর্ভে এ কন্যা জন্ম গ্রহণ করিয়াছে সে ধন্য। মনুষ্যের কথা কি কহিব এই কন্যাকে দেখিয়া দেবগণ মুগ্ধ হয়েন। ইহা বলিয়া রাজা তাল বেতালকে আহ্বান পূর্ব্বক কহিলেন, আমি এই কটাহে মগ্ন হইতেছি, তােমরা সতর্ক থাক। ইহা বলিয়া রাজা কটাহে ঝাপ দিলেন, এবং তৎক্ষণাৎ দগ্ধ হইলেন। বেতাল অবিলম্বে অমৃত আনয়ন করিয়া তাহার প্রাণ দান করিল। রাজা রাম নাম উচ্চারণ পূর্ব্বক গাত্রোধান করিলেন। ইহা দেখিয়া উপস্থিত ব্রাহ্মণ গণ জয়ধ্বনি করিয়া উঠিলেন। আর আর নৃপতিগণ বিস্ময়াপন্ন হইয়া কহিতে লাগিলেন এ কোন রাজা, প্রথমতঃ দগ্ধ হইলেন, পরক্ষণেই জীবিত হইয়া উঠিলেন, ইনি দেবতা হইবেন, কখন মনুষ্য নহেন।