বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সৰ্গ । సె আজন্মকাল রাজাকে দেখিতে পায় নাই, তাহারা এই অবসরে তাহাকে প্রত্যক্ষ করিয়া অতুল আনন্দ অনুভব করিতে লাগিল । এই রূপে রথ রাজপ্রাসাদের দ্বারদেশে উপস্থিত হইলে, রাজা চন্দ্রসেন পুত্র সমভিব্যাহারে স্বীয় মিত্ৰালয়ে প্রবেশ করিলেন, এবং এক অপূর্ব ভবনে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। - এই রূপে কিছুদিন অতীত হইলে পর, একদিন সপুত্রচন্দ্রসেন, স্বীয় মিত্র সমভিব্যাহারে তাহার পুষ্পোদ্যানে ভ্রমণ করিতে গেলেন । দেখিলেন যে তাহাতে মল্লিকা মালতী কুন্দ করবী প্রভৃতি নানাজাতি পুষ্প, এক কালে প্রস্ফুটিত হইয়া, মুমন্দ গন্ধরহের মন্দ মন্দ সঞ্চালন সহকারে সৌরভ বিস্তার করত চতুৰ্দিগ আমোদিত করি তেছে । কোন স্থানে নীল, পীত, লোহিতাদি নানাবর্ণের পাদপ সমূহ, ফলভরে অবনত হইয়া উদ্যানের অশেষ বিধ শোভা সম্পাদন পূর্বক, লোকের দর্শনেন্দ্রিয়কে অনুক্ষণ আকর্ষণ করিতেছে। রাজা চন্দ্রসেন উদ্যানের এবম্বিধ অপরূপ সৌন্দর্য্য অবলোকন করিয়া ভূরিষ্ঠ প্রশংসা করত কহিতে লাগিলেন, নন্দন কানন কোন অংশে ইহা অপেক্ষ শ্রেষ্ঠতর নহে। এই রূপে তিনি শোভা সন্দর্শন লালসায় উদ্যানে ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ করিতে করিতে পরিশ্রান্ত হইয়া বিশ্রাম সুখ সেবার্থ উৎসুক হইলেন। তাছার সহচর ভূপতি ত্বদীয় মনোগত ভাব বুঝিতে পারিয়া তাহাকে ঐ পরমরমণীয় উদ্যানস্থিত একটা মনোহর অট্টালিকার মধ্যে লইয় ( २ )