পাতা:বহুবিবাহ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৪
বহুবিবাহ।

বিবাহ নিবারণের চেষ্টা হইতেছে দেখিয়া, তাহারা সাতিশয় দুঃখিত.ও বিলক্ষণ কুপিত হইয়াছেন, এবং ধর্ম্মরক্ষিণীসভার অধ্যক্ষেরা এ বিষয়ে চেষ্টা করিতেছেন বলিয়া, তাহাদের প্রতি স্বেচ্ছাচারী, শাস্ত্রানভিজ্ঞ, কুটিলমতি, অপরিণামদর্শী প্রভৃতি কটুক্তি প্রয়োগ করিয়াছেন। আমার বোধে, এই ভাবে এই বিচারপত্র প্রচার করা স্মৃতিরত্ন, বেদরত্ব প্রভৃতি মহাশয়দিগের পক্ষে সুবোধের কার্য্য হয় নাই।

 অনেকের মুখে শুনিতে পাই, তাঁহারা কলিকতাস্থ রাজকীয় সংস্কৃতবিদ্যালয়ের ব্যাকরণশাস্ত্রের অধ্যাপক শ্রীযুত তারানাথ তর্ক বাচস্পতি ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের পরামর্শে, সহায়তায় ও উত্তেজনায় বহুবিবাহবিষয়ক শাস্ত্রসম্মত বিচারপত্র প্রচার করিয়াছেন। কিন্তু সহসা এ বিষয়ে বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্তি হইতেছে না। তর্কবাচস্পতি মহাশয় এত অনভিজ্ঞ নহেন যে, এরূপ অসমীচীন আচরণে দূষিত হইবেন। পাঁচ বৎসর পূর্ব্বে, যখন বহুবিবাহনিবারণপ্রার্থনায়, রাজদ্বারে আবেদন করা হয়; সে সময়ে তিনি এ বিষয়ে বিলক্ষণ অনুরাগী ছিলেন, এবং স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া, নিরতিশয় আগ্রহ ও উৎসাহ সহকারে, আবেদনপত্রে নাম স্বাক্ষর করিয়াছেন। এক্ষণে তিনিই আবার, বহুবিবাছরক্ষণপক্ষ অবলম্বন করিয়া, এই লজ্জাকর, ঘৃণাকর, অনর্থকর, অধর্ম্মকর ব্যবহারকে শাস্ত্রসম্মত বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে প্রয়াস পাইবেন, ইহা সম্ভব বোধ হয় না।

শ্রীঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্মা।

কাশীপুর।

২৪ এ শ্রাবণ। সংবৎ ১১২৮।