পাতা:বহুবিবাহ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
২৫

তৃতীয়, বংশজ; চতুর্থ, গৌণ কুলীন; পঞ্চম, পঞ্চগোত্রবহির্ভূত সপ্তশতী সম্প্রদায়।

 কালক্রমে, গৌণ কুলীনেরা শ্রোত্রিয়শ্রেণীতে নিবেশিত হইলেন, কিন্তু সর্ব্বাংশে শ্রোত্রিয়দিগের সমান হইতে পারিলেন না। প্রকৃত শ্রোত্রিয়েরা শুদ্ধ শ্রোত্রিয়, ও গৌণ কুলীনেরা কষ্ট শ্রোত্রিয়, বলিয়া উল্লিখিত হইতে লাগিলেন। গৌণকুলীনসংজ্ঞকালে তাঁহারা যেরূপ হেয় ও অশ্রদ্ধেয় ছিলেন, কষ্টশ্রোত্রিয়সংজ্ঞাকালেও সেইরূপ রহিলেন।

 কৌলীন্যমর্য্যাদাব্যবস্থাপনের পর, ১০ পুরুষ গত হইলে, দেবীবর ধটকবিশারদ কুলীনদিগকে মেলবদ্ধ করেন। যে আচার, বিনয়, বিদ্যা প্রভৃতি গুণ দেখিয়া, বল্লাল ব্রাহ্মণদিগকে কৌলীন্যমর্যাদা প্রদান করিয়াছিলেন, ক্রমে ক্রমে তাহার অধিকাংশই লোপাপত্তি পায়; কেবল আবৃত্তিগুণমাত্রে কুলীনদিগের যত্ন ও আস্থা থাকে। কিন্তু, দেবীবরের সময়ে, কুলীনেরা এই গুণেও জলাঞ্জলি দিয়াছিলেন। বল্লালদত্ত কুলমর্য্যাদার আদানপ্রদানের বিশুদ্ধিরূপ একমাত্র অবলম্বন ছিল, তাহাও লয়প্রাপ্ত হয়। যে সকল দোষে এককালে কুল নির্মূল হয়, কুলীনত্রেই সেই সমস্ত দোষে দুষিত হইয়াছিলেন। যে যে কুলীন একবিধ দোবে দূষিত, দেবীবর তঁহাদিগকে এক সম্প্রদায়ে নিবিষ্ট করেন। সেই সম্প্রদায়ের নাম মেল। মেলশব্দের অর্থ দোষমেলন, অর্থাৎ দোষানুসারে সম্প্রদায়বন্ধন[১]। দেবীবর ব্যবস্থা করেন, দোষ যায় কুল তায়[২]। বল্লাল গুণ দেখিয়া কুলমর্য্যাদার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন; দেবীবর দোষ দেখিয়া কুলমর্য্য্যাদার ব্যবস্থা করিয়াছেন। পৃথক্ পৃথক্ দোষ অনুসারে, দেবীবর তৎকালীন কুলীদিগকে ৩৬


  1. দোষাম্মেলয়তীতি মেলঃ।
  2. দোষো যত্র কুলং তত্র।