তর্কবাচস্পতি মহাশয় যে প্রমাণ অবলম্বন পূর্ব্বক একবারে একাধিক ভার্য্যা বিবাহের ব্যবস্থা করিয়াছেন, তাহা উদ্ধৃত ও আলোচিত হইতেছে।
“অথ যদি গৃহস্থো দ্বে ভার্য্যে বিন্দেত কথং কুর্য্যাৎ।
ইত্যাশঙ্ক
যস্মিন্ কালে বিন্দেত উভবগ্নী পরিচরেৎ
ইত্যুপক্রম্য
দ্বয়োর্ভার্য্যয়োরান্বারব্ধয়োর্যজমানঃ
ইতি বিধানপারিজাতধৃতবৌধায়নসূত্রেণ যুগপদ্ভার্য্যাদ্বয়ং তদনু-
গুণমগ্নিদ্বয়ঞ্চ বিহিতং দ্বয়োঃ পত্ন্যোরদ্বারব্ধয়োরিতি বদতা
চ অগ্নিদ্বয়ে যুগপত্তয়োর্হোমাদিসম্বন্ধপ্রতীতের্ষুগপদ্বিবাহদ্বয়ং
স্পষ্টমেব প্রতীয়তে(২৪)।”
দ্বিজাতিদিগের প্রথম বিবাহে সবর্ণা কন্যা বিহিত; কিন্তু যাহারা
কামৰশতঃ বিবাহে প্রবৃত্ত হয়, তাহারা অনুলোমক্রমে অসবর্ণা
বিবাহ করিবেক।
এই মনুবচনের যে ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তদ্বারা যদৃচ্ছাস্থলে অসবণাবিবাহ-
মাত্র প্রতিপাদিত হইয়াছে। যথা,
“ইমাঃ বক্ষ্যমাণাঃ বৈশ্যক্ষত্রিয়বিপ্রাণাং শূদ্রাবৈশ্যাক্ষত্রিয়াঃ”।
ব্যক্ষমাণ কন্যারা অর্থাৎ বৈশ্য, ক্ষত্রিয় ও ব্রাহ্মণের শুদ্রা, বৈশ্যা ও
ও ক্ষত্রিয়া।
ইহা দ্বারা অচ্যুতানন্দ স্পষ্টাক্ষরে স্বীকার করিয়াছেন, যদৃচ্ছাক্রমে বিবাহে প্রবৃত্ত হইলে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়া, বৈশ্যা ও শূদ্রা; ক্ষত্রিয় বৈশ্যা ও শূদ্রা; বৈশ্য শূদ্রা বিবাহ করতে পারে। অতএব, যিনি মনুচনব্যাখ্যাকালে যদৃচ্ছাসস্থলে অসবর্ণাবিবাহমাত্র ব্যবস্থাপিত করিয়াছেন; তাঁহার পক্ষে ব্রাহ্মণের পাঁচ ছয় সবর্ণা বিবাহ দূষ্য নয়", এরূপ ব্যবস্থা করা কত দূর সঙ্গত, তাহা সকলে বিবেচনা করিয়া দেখিবেন। ফলতঃ, অচ্যুতানন্দকৃত মনুবচনব্যাখ্যা ও দায়ভাগলিখনের তাৎপর্য্যব্যাখ্যা যে পরস্পর নিতান্ত বিরুদ্ধ, তাহার সন্দেহ নাই।
- ↑ (২৪) বহুবিবাহবাদ, ২১ পৃষ্ঠা।