সঙ্কলিত হইয়াছে, কষ্টকল্পনা ব্যতিরেকে তদ্দ্বারা অন্য অর্থের প্রতীতি হইতে পারে না। এজন্য, যে যে পূর্ব্বতন গ্রন্থকর্ত্তারা। স্ব স্ব গ্রন্থে ঐ দুই সূত্র উদ্ধৃত করিয়াছেন, তাঁহারা সকলেই ঐ অর্থ অবলম্বন করিয়া গিয়াছেন। যথা,
“এতন্নিমিতভাবে নাধিবেত্তব্যেত্যাহ আপস্তম্বঃ
ধর্ম্মপ্রজাসম্পন্নে দারে নান্যাং কুর্ব্বীত।
অন্যতরাভাবে কার্য্যা প্রাগগ্ন্যাধেয়াদিতি।
অস্যার্থঃ যদি প্রথমোঢ়া স্ত্রী ধর্ম্মেণ শ্রৌতস্মার্ত্তাগ্নিসাধোন প্রজয়া পুত্রপৌত্রাদিনা চ সম্পন্না তদা নান্যাং বিবহেৎ অন্যতরাভাবে অগ্ন্যাধানাৎ প্রাক্ বোঢ়ব্যেতি (৩০)[১]”।
আপস্তস্ব কহিয়াছেন, এই সকল নিমিত্ত না ঘটিলে, অধিবেদন করিতে পারিবেক না। যথা,
ধর্ম্মপ্রজাসম্পন্নে দারে নান্যাং কুর্ব্বীত।
অন্যতরাভাবে কার্য্যা প্রাগগ্ন্যাধেয়াৎ।
ইহার অর্থ এই, যদি প্রথম বিবাহিত স্ত্রী শ্রুতিবিহিত ও স্মৃতিবিহিত অগ্নিসাধ্য ধর্ম্মকার্য্য নির্ব্বহের উপযোগিনী ও পুত্রপৌত্রাদিসন্তানশালিনী হয়, তাহা হইলে অন্য স্ত্রী বিবাহ করিবেক না। অন্যতরের অভাবে অর্থাৎ ধর্ম্মকার্য্য অথবা পুত্রলাভ সম্পন্ন না হইলে, অগ্ন্যাধানের পূর্ব্বে বিবাহ করিবেক।
“তদ্বিষয়মাহ আপস্তম্বঃ
ধর্ম্মপ্রজাসম্পন্নে দারে নান্যাং কুর্ব্বীত।
অন্যতরাভাবে কার্য্যা প্রাগগ্ন্যাধেয়াদিতি।
অস্যার্থঃ যদি প্রাগূঢ়া স্ত্রী ধর্ম্মেণ প্রজয়া চ সম্পন্না তদা নস্যাৎ বিবহেৎ অন্যতরাভাবে অগ্রাধানাং প্রাক্ বোঢ়ব্যেতি (৩১)[২]।” এ বিষয়ে আপস্তস্ব কহিয়াছেন,