সে সব রচনার আলোচনাতে সকলেই সন্তোষ লাভ করিবেন
সন্দেহ নাই, কিন্তু যাঁহারা সংস্কৃতশাস্ত্রব্যবসায়ী এবং মনু প্রভৃতি
সংহিতার রসাস্বাদন করিয়াছেন এবং জীমূতবাহনকৃত দায়-
ভাগের নবম অধ্যায় টীকার সহিত অধ্যয়ন করিয়াছেন। তাঁঁহারা
বলিতেছেন, এমন যে উত্তমরচনারূপ দুগ্ধসমূহ তাহাকে “কামতস্তু
প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশো বরঃ শূদ্রৈব ভার্য্যা শূদ্রস্য” ইত্যাদি
বচনের মৃতম অর্থরূপ গোমূত্রদ্বারা একবারে অগ্রাহ্য করিয়াছে,
না হইবেই বা কেন “যার কর্ম্ম তারে সাজে অন্যের যেন লাঠি
বাজে” এই কারণই নিম্নভাগে, জীমূত বাহনকৃত দায়ভাগের নবম
অধ্যায়ের টীকার সহিত কতিপয় পংক্তি উদ্ধৃত করা গেল” (১)।
দায়ভাগলিখন দ্বারা যদচ্ছাপ্রবৃত্ত বহুবিবাহব্যবহারের সমর্থন হওয়া কোনও মতে সম্ভব নহে, ইহা তর্কবাচস্পতিপ্রকরণের তৃতীয় পরি- চ্ছেদে নির্ব্বিবাদে প্রতিপাদিত হইয়াছে (২);[২] এ স্থলে আর তাহার নূতন আলোচনা নিষ্প্রয়োজন। শ্রীযুত রাজকুমার ন্যায়রত্ন কখনও ধর্ম্মশাস্ত্রের অনুশীলন করেন নাই, এজন্যই এত আড়ম্বর করিয়া দায়ভাগের দোহাই দিয়াছেন। তিনি যে দায়ভাগের দোহাই দিতেছেন, সেই দায়ভাগেরই প্রকৃত প্রস্তাবে অনুশীলন করিয়াছেন, এরূপ বোধ হয় না। কারণ, দায়ভাগ দৃষ্টি থাকিলে,
কামতস্তু প্রবৃত্তনামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশো বরাঃ।
মনুবচনের এরূপ পাঠ ধরিতেন না। তিনি, একমাত্র দায়ভাগ অবলম্বন করিয়া, প্রস্তাবিত বিষয়ের মীমাংসায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন, অথচ দায়ভাগকার মনুবচনের কিরূপ পাঠ ধরিয়াছেন, তাহা অনুধাবন করিয়া দেখেন নাই। ন্যায়রত্ন মহাশয়, আলস্য পরিত্যাগপূর্ব্বক,