নিষেধ বিধির কল্পনা করিয়াছেন, কিন্তু কি আশ্চর্য! এই
বিধিটি কি নিয়ামক হইতে পারে না? ইহা দ্বারা কি অর্থে
সবর্ণাবিবাহই কর্তব্য ও অনুলোমবিবাহই কর্ত্তব্য এই দুইটি
নিয়ম বিধিবদ্ধ হইতেছে না? অসবর্ণাৰিবাহ করিতে ইচ্ছা হইলে
প্রথমে সবর্ণবিবাহ করিতেই হইবে এবং পরে যথাযথ হীনবর্ণা
বিবাহ করিবে এইটি কি ঐ বিধির প্রকৃত ভাব নহে?(৩}।”
এ স্থলে বক্তব্য এই যে, তর্কবাচস্পতিপ্রকরণের প্রথম পরিচ্ছেদে প্রতিপাদিত হইয়াছে, মনুবচনোক্ত বিবাহবিধিকে অপূর্ব্ববিধিই বল, নিয়মবিধিই বল, পরিসংখ্যাবিধিই বল, আমার পক্ষে তিনই সমান; তবে পরিসংখ্যার প্রকৃত স্থল বলিয়া বোধ হওয়াতেই, পরিসংখ্যাপক্ষ অবলম্বিত হইয়াছিল (৪)।[২] অতএব, যদি সামশ্রমী মহাশয়ের পরিসংখ্যায় নিতান্ত অরুচি থাকে; এবং এই বিবাহবিধিকে নিয়মবিধি বলিয়া স্বীকার করিলে, তাঁহার সন্তান জন্মে, তাহা হইলে আমি তাহাতেই সম্মত হইতেছি; আর, নিয়মবিধি স্বীকার করিয়া তিনি প্রথমে যে ব্যবস্থা করিয়াছেন, তাহাও অঙ্গীকার করিয়া লইতেছি। তাঁহার ব্যবস্থা এই; “ইহা দ্বারা কি অগ্রে সবর্ণাবিবাহ কর্তব্য ও অনুলোমবিবাহই কর্তব্য এই দুইটি নিয়ম বিধিবদ্ধ হইতেছে না?”। পূর্ব্বে দর্শিত হইয়াছে, মনুবচনের পূর্ব্বার্দ্ধ দ্বারা “অগ্রে সবর্ণাবিবাহ কর্তব্য” এই অর্থই প্রতিপন্ন হয়; আর, “অনুলোমবিবাহই কর্তব্য” অর্থাৎ কামবশতঃ বিবাহ করিতে ইচ্ছা হইলে, অনুলোমক্রমে অসবর্ণাবিবাহ কর্তব্য; মনু- বচনের উত্তরার্দ্ধ দ্বারা এই অর্থই প্রতিপন্ন হয়। অতএব, যদি সামশ্রমী মহাশয়ের ঐ মীমাংসার এইরূপ তাৎপর্য্য হয়, তাহা হইলে তদীয় ঐ মীমাংসায় কোনও আপত্তি নাই; কারণ, নিয়মবিধি অবলম্বিত হইলে,
সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।