বিষ্ণুবচনে) এক ব্যক্তির বহুভার্য্যা বিদ্যমান থাকার উল্লেখ আছে; কিন্তু ঐ বহুভার্য্যাবিবাহ অধিবেদনের নির্দিষ্ট নিমিত্তনিবন্ধন নহে, তাহার কোনও হেতু লক্ষিত হইতেছে না” (৫০)[১]।
বিষ্ণু প্রথম বচনে ব্যবস্থা করিয়াছেন, যদি কোনও ব্যক্তির সবর্ণা বহু ভার্য্যা থাকে, সে জ্যেষ্ঠা ভার্য্যার সহিত ধর্ম্মকার্য্যের অনুষ্ঠান করিবেক; অনন্তর, দ্বিতীয় বচনে ব্যবস্থা করিয়াছেন, যদি সবর্ণা অসবর্ণা বহু ভার্য্যা থাকে, তাহা হইলে, সবর্ণা অসবর্ণা অপেক্ষা বয়ঃকনিষ্ঠা হইলেও, তাহারই সহিত ধর্ম্মকার্য্য করিবেক। যথা,
মিশ্রাসু চ কনিষ্ঠয়াপি সবর্ণয়া।
সবর্ণা অসবর্ণা বহু ভার্য্যা বিদ্যমান থাকিলে, সবর্ণা বয়ঃকনিষ্ঠা হইলেও, তাহারই সহিত ধর্ম্মকার্য্য করিবেক।
এ স্থলে দৃষ্ট হইতেছে, সবর্ণা অপেক্ষা অসবর্ণা বয়োজ্যেষ্ঠা; তদ্দারা ইহা প্রতিপন্ন হইতে পারে, সবর্ণার পূর্ব্বে অসবর্ণার পাণিগ্রহণ সম্পন্ন হইয়াছে; সুতরাং, প্রথম বিবাহে অসবর্ণ নিষিদ্ধা নহে, ইহা সিদ্ধ হইতেছে। এই স্থির করিয়া, কবিরত্ন মহাশয় লিখিয়াছেন, আমি বিষ্ণুবচনের শেষ অংশ গোপন পূর্ব্বক, পূর্ব অংশের অযথার্থ ব্যাখ্যা করিয়া, লোককে প্রতারণা করিয়াছি। এ স্থলে ব্যক্তব্য এই যে, সবর্ণা অসবর্ণা বহু ভার্য্যা সমবায়ে সবর্ণা স্ত্রী বয়ঃকনিষ্ঠা হওয়া তিন প্রকারে ঘটতে পারে; প্রথম, অগ্রে অসবর্ণা বিবাহ করিয়া পরে সবর্ণাবিবাহ; দ্বিতীয়, প্রথমে সবর্ণাবিবাহ, তৎপরে অসবর্ণাবিবাহ, অনন্তর পূর্বপরিণীতা সবর্ণার মৃত্যু হইলে, পুনরায় সবর্ণাবিবাহ; তৃতীয়, প্রথমে অতি অল্পবয়স্কা সবর্ণাবিবাহ, তৎপরেই অধিকবয়স্কা অসবর্ণাবিবাহ (৫১)[২]। ইতিপূর্বে নির্বিবাদে