ত্রিদণ্ডেন যতিশ্চৈব লক্ষণানি পৃথক্ পৃথক্।
যস্যৈতল্লক্ষণং নাস্তি প্রায়শ্চিত্তী নচাশ্রমী (৫০)॥[১]
মেখলা, অজিন ও দণ্ড ব্রহ্মচারীর লক্ষণ, দেবযজ্ঞ প্রভৃতি গৃহস্থের লক্ষণ, নখলোম প্রভৃতি বানপ্রস্থের লক্ষণ, ত্রিদণ্ড যতির লক্ষণ; এক এক আশ্রমের এই সকল পৃথক্ পৃথক্ লক্ষণ; যাহার এই লক্ষণ নাই, সে ব্যক্তি প্রায়শ্চিত্তী ও আশ্রমভ্রষ্ট।
এই শাস্ত্রেও বিবাহের অকরণে স্পষ্ট দোষশ্রুতি লক্ষিত হইতেছে। দেবযজ্ঞ প্রভৃতি কর্ম্ম গৃহস্থাশ্রমের লক্ষণ; কিন্তু স্ত্রীর সহযোগ ব্যতিরেকে ঐ সকল কর্ম্ম সম্পন্ন হয় না; সুতরাং স্ত্রীবিরহিত ব্যক্তি আশ্রমভ্রষ্ট ও প্রত্যবায়গ্রস্ত হয়।
এক্ষণে সকলে বিবেচনা করিয়া দেখুন, এই সকল বচনে বিবাহবিধিলঙ্ঘনে দোষশ্রুতি লক্ষিত হইতেছে কি না। লঙ্ঘনে দোষশ্রুতিও বিধির নিত্যত্বপ্রতিপাদক; সুতরাং, লঙ্ঘনে দোষশ্রুতি দ্বারা বিবাহবিধির ও তদনুযায়ী বিবাহের নিত্যত্ব সিদ্ধ হইতেছে।
অপরঞ্চ, শাস্ত্রান্তরেও বিবাহবিধিলঙ্ঘনে স্পষ্ট দোষশ্রুতি দৃষ্ট হইতেছে। যথা,
অদারস্য গতির্নাস্তি সর্ব্বান্তস্যাফলাঃ ক্রিয়াঃ।
সুরার্চ্চনং মহাযজ্ঞং হীনভার্য্যো বিবর্জ্জয়েৎ॥
একচক্রো রথো যদ্বদেকপক্ষো যথা খগঃ।
অভার্য্যোহপি নরস্তদ্বদযোগ্যঃ সর্ব্বকর্ম্মসু॥
ভার্য্যাহীনে গৃহং কস্য তস্মাদ্ভার্য্যাং সমাশ্রয়েৎ॥
সর্ব্বস্বেনাপি দেবেশি কর্ত্তব্যো দারসংগ্রহঃ (৫১)[২]॥