নৈমিত্তিক ও কাম্য ভেদে বিবাহ চতুর্বিধ। ব্রহ্মচর্য্যসমাধানান্তে গুরু- গৃহ হইতে স্বগৃহ প্রত্যাগমন পূর্ব্বক যে বিবাহ করিবার বিধি আছে, তাহা নিত্য বিবাহ। যথা,
গুরুণানুমতঃ মা সমাবৃত্তো যথাবিধি।
উদ্বহেত দ্বিজো ভার্য্যাং সবর্ণাং লক্ষণান্বিতাম্॥৩৪।(২)[১]
দ্বিজ, গুরুর অনুজ্ঞালাভান্তে, যথাবিধানে স্থান ও সমাবর্ত্তন
করিয়া, সজাতীয়া সুলক্ষণা ভার্য্যার পাণিগ্রহণ করিবেক।
পূর্ব্বপরিণীতা স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি নিমিত্ত বশতঃ, তাহার জীব- দ্দশায় পুনরায় যে বিবাহ করিবার বিধি আছে, তাহা নৈমিত্তিক বিবাহ। যথা,
সুরাপী ব্যাধিতা ধূর্ত্তা বন্ধ্যার্থঘ্ন্যপ্রিয়ংবদা।
স্ত্রীপ্রসূশ্চাধিবেত্তব্যা পুরুষোদ্বেেণী তথা॥ ১। ৭৩।(৩)[২]
যদি স্ত্রী সুরাপায়িণী, চিররোগিণী, ব্যভিচারিণী, বন্ধ্যা, অর্থ-
নাশিনী, অপ্রিয়বাদিনী, কন্যামাত্রপ্রসবিনী ও পতিদ্বেষিণী হয়,
তৎসত্ত্বে অধিবেদন, অর্থাৎ পুনরায় দারপরিগ্রহ, করিবেক।
পুত্রলাভ ও ধর্ম্মকার্য্যসাধন গৃহস্থাশ্রমের প্রধান উদ্দেশ্য; পুত্রলাভ ব্যতিরেকে পিতৃঋণের পরিশোধ হয় না; যজ্ঞাদি ধর্ম্মকার্য্য ব্যতিরেকে দেবঋণের পরিশোধ হয় না। স্ত্রী বন্ধ্যা, ব্যভিচারিণী, সুরাপায়িণী প্রভৃতি হইলে, গৃহস্থাশ্রমের দুই প্রধান উদ্দেশ্য সম্পন্ন হয় না; এজন্য, শাস্ত্রকারের পূর্ব্বপরিণীতা স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব প্রভৃতি নিমিত্ত ঘটিলে, তাহার জীবদ্দশায় পুনরায় দারপরিগ্রহের বিধি দিয়াছেন। গৃহস্থাশ্রম সম্পাদন কালে, যত বার নিমিত্ত ঘটিবে, তত বার বিবাহ করিবার অধিকার ও আবশ্যকতা আছে। যথা,