পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসাম বাংলা রেলপথে సిఫిJ) রাজাদের রাজধানী ছিল ডিমাপুরে। ইহা পাণ্ডু-তিনসুকিয় লাইনের মণিপুর রোড স্টেশনের নিকটেই অবস্থিত ছিল । ইহার বিস্তৃত ধবংসাবশেষ আজও দেখিতে পাওয়া যায়। পাবর্বত্য ব। উত্তর কাছাড়ের মহকুমা দপ্তর ৩১১৭ ফুট উচচ হাফুলং শৃঙ্গ। এই স্টেশন বদরপুর জংশন হইতে ৮৭ মাইল। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি মনোরম। এখানে একটি অতি সুন্দর হ্রদ দেখিতে পাওয়া যায় । কাটাখাল-বদরপুর জংশন-শিলচর শাখা লাইনে অবস্থিত এবং আখাউড়া জংশন হইতে ১৩৫ মাইল । এখান হইতে একটি শাখা লাইন কাছাড় জেলার অন্যতম মহকুমা হাইলাকান্দি হইয়া ২২ মাইল দূরবর্তী লালাঘাট পর্য্যস্ত গিয়াছে। হাইলাকান্দি মহকুমায় বহু চা-বাগান আছে। শিলচর—আখাউড় ও বদরপুর জংশন হইতে যথাক্রমে ১৪৬ ও ১৮ মাইল। ইহা কাছাড় জেলার সদর। বরাক নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটির স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য অনুপম। অনতিদূরে উত্তর কাছাড়ের দৃশ্য সুন্দর। মাইবং হইতে কাছাড়া রাজাদের রাজধানী শিলচরের ১০ মাইল উত্তরে খাসপুরে স্থানান্তরিত হয়। রাজবাড়ীর ভগ্নাবশেষ ও রাজবংশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রণচণ্ডী দেবীর মন্দির এখনও এখানে বিদ্যমান আছে। শিলচর হইতে মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল ও লুসাই-পাহাড় জেলার প্রধান শহর আইজলে याँ &४झी शॉट्स } শিলচর হইতে ইনফলের দূরত্ব ১২৫ মাইল। ইহার মধ্যে কতকটা পথ মোটর গাড়ীতে ও মধ্যবর্তী কতকটা পথ ঘোড়ায় চড়িয়া যাইতে হয়। পথিমধ্যে বিশ্রামের জন্য স্থানে স্থানে রেস্ট হাউস্ বা বিশ্রামাগার আছে। এই পথের প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি সুন্দর। মণিপুর একটি করদ রাজ্য। মণিপুররাজ ইংরেজ সরকারকে বাধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা কর দিয়া থাকেন। এই রাজবংশ অর্জনের পুত্র বভ্র বাহনের বংশধর বরিয়৷ খ্যাত। মণিপুর রাজ্যে লোণটক্‌ নামে অতি সুন্দর একটি হ্রদ আছে। উহা দৈর্ঘ্যে ৮ মাইল এবং বিস্তারে ৫ মাইল । ইফল হইতে উহা ৩০ মাইল দূর। এই হ্রদটি দেখিবার জন্য বহু ভ্রমণকারী মণিপুর যাইয়া থাকেন। মোটরবাসে এই হ্রদে যাওয়া যায়। মণিপুরের অধিবাসিগণ বৈষ্ণব ধৰ্ম্মাবলম্বী এবং শ্রীচৈতন্যদেবের ভক্ত। প্রাচ্য নৃত্যকলায় মণিপুরী নৃত্যের একটি বিশিষ্ট স্থান আছে। মণিপুরের রাসলীলা ও দোলযাত্র উৎসব বিশেষ বিখ্যাত। প্রবাদ যে জগদ্বিখ্যাত “ পোলো “ খেলার উৎপত্তি মণিপুর হইতে হইয়াছে। শিলচর হইতে আইজলের দূরত্ব ১১১ মাইল। এই পথে আটটি সুসজ্জিত বিশ্রামাগার আছে। শিলচর হইতে দোয়রবাধ পর্য্যন্ত প্রথম ১৮ মাইল পথ গো-যানে যাওয়া যায়। ইহার পরবর্তী পথ অশ্বারোহণে যাইতে হয়। শিলচর হইতে নৌকাযোগেও আইজলে যাওয়া যায়। ইহাতে সাধারণতঃ ১৫ দিন সময় লাগে। লুসাই পাহাড়ের পাদদেশস্থ সাইবং নামক স্থান পৰ্য্যন্ত নৌকাযোগে গিয়া সেখান হইতে প্রায় ১৪ মাইল পথ গো-যানে যাইতে হয়। নৌকাপথের প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি মনোহর। -