পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ बांश्लांग्न चयनं প্রসিদ্ধ “মহাকাল ” শিবের স্থানে যাওয়া যায়। মহাকাল শিব অরণ্য মধ্যে পবর্বতোপরি অবস্থিত। শিবের কোন মন্দির নাই। শিবস্থানের নিকট একটি বিরাট আম্ৰবৃক্ষ ও একটি পুষ্করিণী অবস্থিত। শিবরাত্রির সময় এখানে পাহাড় অঞ্চল হইতে বহু যাত্রীর সমাগম হয়। ; ভুরঙ্গমারী—পাব; সপুর জংশন হইতে ৬৬ মাইল। স্টেশন হইতে গ্রাম প্রায় ৩ মাইল উত্তর-পূবেব রায়ঢাক বা দুধকুমার নদীর কুলে অবস্থিত। ইহা রংপুর জেলার একটি প্রসিদ্ধ গঞ্জ । দুধকুমার-তোলা কালজানি ও রায়চাকের মিলিত জলধারা বহন করে। . গোলকগঞ্জ জংশন—পাবৰ্বতীপুর জংশন হইতে ৭৬ মাইল দুর। ইহাই গোয়ালপাড়া জেলা । ও আসাম প্রদেশের প্রথম স্টেশন। স্থানটি গঙ্গাধর নদের তীরে অবস্থিত এবং গোয়ালপাড়া জেলার একটি বিখ্যাত বাণিজ্য কেন্দ্র। গঙ্গাধরের উপর একটি রেল সেতু আছে। এই স্থান হইতে একটি শাখা লাইন ১৩ মাইল দূরবর্তী ধুবড়ী পর্য্যন্ত গিয়াছে। গোলকগঞ্জ হইতে গঙ্গাধর নদের উপর নৌকাপথে যথাক্রমে ৮ ও ১৬ মাইল উত্তরে আগমনী ও তামারহাট গোয়ালপাড়া জেলার প্রসিদ্ধ গল্প। গৌরীপুর—ধুবড়ী শাখা পথে পাৰ্বতীপুর জংশন হইতে ৮৫ মাইল দুর। ইহা গঙ্গাধর নদের একটি শাখা গদাধর নদের তীরে অবস্থিত এবং একটি বদ্ধিষ্ণু বাণিজ্য কেন্দ্র। এখানে বিস্তৃত কাঠের ও পাটের কারবার আছে। সমগ্র আসামের মধ্যে গৌরীপুরের রাজ্য সব চেয়ে বড় জমিদার। একটি টিলার উপর অৰস্থিত তাহার “ মতিয়া বাগ” নামক প্রাসাদ এখানকার একটি প্রধান দ্রষ্টব্য। এই প্রাসাদে সম্রাট শের শাহের একটি তোপ আছে; উহা কনস্তানতিনোপল হইতে আনীত বিখ্যাত কারিগর সৈয়দ আহমদ কর্তৃক নিম্বিত। গৌরীপুর হইতে ছয় মাইল উত্তর-পূবেৰ অবস্থিত রাঙ্গামাটাতে সপ্তদশ শতাব্দীতে নিক্ষিত বলিয়া কথিত একটি পুরাতন মসজিদ আছে। মুঘল আমলে এই স্থানে একটি ফৌজদারীর সদর ছিল। ধুবড়ী—পাবৰ্বতীপুর জংশন হইতে ৮৯ মাইল দুর। ইহা গোয়ালপাড়া জেলার সদর শহর এবং ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত একটি বাণিজ্য প্রধান স্থান। শহরের পূর্ব প্রস্তে গদাধর আসিয়া ব্ৰহ্মপুত্রে মিশিয়াছে। অনেকে অনুমান করেন যে “ ধোপা ৰুড়ী ” কথা হইতে ধুবড়ী নাম হইয়াছে। তাহাদের মতে এই অঞ্চলেই বেহুলা-লখীন্দরের ঘটনা ঘটিয়াছিল এবং মনসার ভাসান গানে উল্লিখিত নিত্যা বা নেতা ধোপানীর পাট ধুবড়ীতে অবস্থিত ছিল। কোচবংশীয় রাজা পরীক্ষিৎ ধুবড়ীতে একটি দুগ নিৰ্মাণ করিয়াছিলেন। মুঘল সেনাপতি মোকর খী ঐ দুর্গ অধিকার করিয়া ধুবড়ী জয় করেন। “কোচ বিহার ” স্টেশন দ্রষ্টব্য। ধুবড়ী শিখ ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের একটি প্রসিদ্ধ তীর্থ স্বান। এই স্থানে একটি টিলার উপর তাঁহাদের দমদম গুরুদ্বার অবস্থিত। ইহা গুরু তেগ বাহাদুরের আদেশে ১৬৬৫ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় বলিয়া কথিত। ' ধুবড়ী শহরটি ব্ৰহ্মপুত্র তীরস্থ একটি উচচ টিলার উপর নিৰ্ম্মিত। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি সুন্দর। গোয়ালপাড়া জেলা-আসাম প্রদেশের অন্তর্গত হইলেও এই জেলায় বহু বাঙালীর বাস আছে এবং ধুবড়ী প্রভৃতি অঞ্চলে বাঙালীদেরই প্রাধান্য। s অশোকানী উপলক্ষে বর্তীতে ব্ৰহ্মপুত্র মানের জন্য সাহিত্র লোক সমাগম হয় ও মেল ৰগে। এই মেলায় লোকশিল্পের নিদর্শন স্বরুপ কিছু কিছু জিনিষ পাওঁয়া যায়।