বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা শিক্ষা.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনা-শিক্ষা । বর্ষায় প্লাবিত হইয়া থাকে। ইহার দক্ষিণাংশ সাগরের নীলাম্বুরাশিতে নিমগ্ন, উত্তরাংশে অভ্ৰভেদী হিমাচলের তুষার-শুভ্ৰ শৃঙ্গ, অনন্ত আকাশের স্বচ্ছ নীলিমায় নিমগ্ন। এই দেশে গঙ্গা, ব্ৰহ্মপুত্র ও মেঘনা নদী বহুশাখা প্রশাখt fবস্তার করিয়া প্রবাহিত হইতেছে । সাগরোথিত বাপরাশি এই দেশের উপর দিয়া প্রবাহিত হয়, এবং সময়ে সময়ে বৃষ্টি রূপে পরিণত হয় ; এজন্য এই দেশের বায়ু অত্যন্ত সজল । শ্যামল-শস্যপূৰ্ণ সুবিস্তৃত প্ৰান্তর ভূমির মধ্যভাগে বিবিধ ফল-পুষ্প-বৃক্ষ-শোভিতছায়াময়—গ্রাম, তাল খৰ্জ ৱাদি বৃক্ষের শ্রেণী, চতুদিকে নদী, নদীর চর, শীত-গ্রীষ্মাদি ঋতুর পূর্ণ বিকাশ সাধন করিয়া বঙ্গদেশকে এক স্বৰ্গীয় চিত্রে চিত্ৰিত করিয়া রাখি থাছে । এখানে যে সকল জাতি বাস করেতন্মধ্যে হিন্দু ও মুসলমানই প্ৰধান। পাহাড়ে ও জঙ্গলে কতিপয় আদিম অধিবাসার বাস আছে ; অধিকন্তু অনেক বৈদেশিক বাণিজ্য উপলক্ষে, একরূপ এ দেশের অধিবাসী হইয়া গিয়াছেন । বাঙ্গালী সাধারণতঃ সুন্দরাকৃতি ও বুদ্ধিমান , কিন্তু দুৰ্ব্বল ও অলস। ইহারা অতিশয় নম্র, শাস্ত, ও আতিথেয় ; কিন্তু ভীরু ও নিরুৎসাহ ; আমু করণ-ক্ষমতা ইহাদের বিলক্ষণ আছে । বঙ্গদেশের প্রচলিত ভাষা সংস্কৃত-মুলক ; অসভ্য জাতিদিগের ভাষার বর্ণমালা নাই, সুতরাং লিখিয়া মনোভাব ব্যক্তি করিবার উপায় নাই। এখানে হিন্দু, জৈন, মুসলমান ও খৃষ্ট ধৰ্ম্মের প্ৰভাৰ দেখিতে পাওয়া যায়, --হিন্দুরা নিত্য, নিয়ন্তা, সৰ্ব্বশক্তিমান, সৰ্ব্বব্যাপী, সৰ্ব্বজ্ঞ পরব্রহ্মকে প্রধান উপাস্ত বলিয়া স্বীকার করেন। এক্ষণে বঙ্গদেশ দুইজন ছোট লাটের শাসনাধীন। রাজস্ব-সংগ্ৰহ ও শাসন-কাৰ্য্যের সুবিধার জন্য প্ৰদেশ গুলি কতিপয় বিভাগে বিভক্ত । প্ৰত্যেক বিভাগ কয়েকটি জেলার সমষ্টি। বঙ্গদেশের প্রধান খাদ্য তণ্ডুল, উহা এদেশে প্রচুর পরিমাণে ऎ९° छ् । ਚਿ গোধূম, বাজরা,