বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা শিক্ষা.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনা-শিক্ষা । So লিখিত হইল, তাহা এবং বিশেষতঃ অলঙ্কার-প্রকরণ, রচনা-কালে প্ৰথম শিক্ষাখিগণের সবিশেষ সাহায্য করিতে পারিবে । সুলেখক ৬/অক্ষয় কুমার দত্ত মহাশয় ‘পৃথিবীস্থ যাবতীয় কৃত্ৰিম পদার্থ মানবীয় কায়িক ও মানসিক পরিশ্রমেয় ফল ।” এই কথা বলিতে কি সুন্দর রচনাই করিয়াছেন ঃ “পরম শোভাকর প্রশস্ত অট্টালিকা, বিকসিত-পুষ্প-পরিপূর্ণ মনোহর পুষ্পেপাদ্যান, সুচিকণ চিত্ত-রঞ্জিন পণ্য-পরিপূর্ণ আপণ-শ্রেণী, তড়িৎ-সমবেগ-বিশিষ্ট বাষ্পীয়পোত ও বাষ্পীয়রথ, ধৰ্ম্মশাসন-সংস্থাপক পবিত্ৰ বিচার-স্থান, জ্ঞান-রূপ মহারিত্বের আকার-স্বরূপ বিদ্যামন্দির, পৃথিবীন্থ জ্ঞানি-গণের জ্ঞান-সমষ্টি-স্বরূপ পুস্তকালয় ইত্যাকার সমুদায় শুভকর বস্তুই কায়িক ও মানসিক পরিশ্রমের অসীম-মহিমা-পক্ষে সাক্ষ্যদান Kvē ” তিনি ‘ন্যায়বান কৃষক অধৰ্ম্মোপজীবী লক্ষপতির অপেক্ষা আদরণীয়।” এই কথা বলিতে লিখিয়াছেন ঃ “এরূপ ধৰ্ম্মপরায়ণ কৃষকের বালীবর্দ-বিশিষ্ট পর্ণকুটিরের নিকট অধৰ্ম্মোপজীবী লক্ষপুতির অশ্ব-রথ-শোভিনী চিত্তচমৎকারিণী প্রাসাদশ্রেণীও মলিন বোধ হয়। এরূপ ঋজু স্বভাব বুভুক্ষু কৃষকের কদলী-পত্ৰস্থিত নিরুপকরণ তণ্ডুলগ্রাস, পরাধনাপহারী বিভবশালী ধনাঢ্যদিগের স্বর্ণপাত্রারূঢ় সুগন্ধপরিপূর্ণ সুস্নিগ্ধ ভোগ অপেক্ষা সহস্ৰগুণে বিশুদ্ধ ও তৃপ্তিকর।”