বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bペ বাঙ্গলার ইতিহাস । - | হইতে বাঙ্গলায় খারিজ করিয়া লওয়া হয়। তদ্ভিন্ন পদ্মা ও ভাগীরথীর পশ্চিম পাশ্বে মুর্শিদাবাদ, বৰ্দ্ধমান, সপ্তগ্রাম ( বা হুগলী) যশোহর, ভূষণ। এই পাঁচটি, অবশিষ্ট ছয়টি,-আকবরনগর, (রাজমহল), ঘোড়াঘাট, করইবাড়ী, জাহাঙ্গীর নগর (ঢাকা ), শ্রীহট্ট ও ইসলামাবাদ (চট্টগ্রাম) প্রধানতঃ পদ্মার পূর্বপাশ্বে স্থাপিত। রাজমহলের কিয়দংশ মাত্র গঙ্গার পশ্চিম-পারে। এই ত্রয়োদশ চাক্‌লায় বিভক্ত বঙ্গের রাজকর তৎকাল-প্রতিষ্ঠিত ২৫টি জমিদারী-বিভাগে (এহতিমাম্বন্দী ) বন্দোবস্ত হয়। পরবর্তী নবাব সুজাউদ্দীনের সময়ে ১৭২৮ খৃষ্টাব্দে ( বাং ১১৩৫ সাল ) এই যন্দোবস্ত পাকা হইয়া সুমার বা গোসোয়ার প্রস্তুত হইয়াছিল ( ১ ) । - ভূমির রাজস্ব ব্যতীত অন্তরূপ করের পারসী নাম আবওয়াব। মুর্শিদকুলী খার সময়ে একমাত্র আবওয়াব খাসনবিস প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। রাজস্বের উপরে এই সামান্ত নজরান লওয়া হইত। খালসা ( রাজস্ব ) সেরেস্তার খাসনবীস ও মুক্তঃস্থীগণের পাৰ্ব্বণী লইয়াই ইহার উৎপত্তি। এইট এবং বাদশাহ-সরকারে প্রেরিত বার্ষিক নজরানা বাবদ মোট ২৫৮৪৫৭ টাকা সমগ্র বঙ্গের ভূসম্পত্তির উপরে পড়তা করিয়া আদায় হইত। আবওয়াব কিরূপে ক্রমশঃ বৰ্দ্ধিত হয়, অন্যত্র তাহ প্রদর্শিত হইবে। বর্ণিত জমিদারী বন্দোবস্তই মুর্শিদকুলী খাঁর কীৰ্ত্তিস্তম্ভ, আবার ইহাতেই তাহার কলঙ্ক প্রবাদ । তারিখ বাঙ্গালার লেখকের প্রচারিত জনশ্রুতিই কলঙ্কের মূল ভিত্তি। তিনি মুর্শিদকুলী খাঁর হায়পরতা, কাৰ্য্যকুশলতা, ধৰ্ম্মজ্ঞান প্রভৃতির ভূয়সী প্রশংসা করিয়াছেন, পূর্বেই দৃষ্ট হইয়াছে। তাহার মতে । শায়েস্তা খার পরে সমগ্র হিন্দুস্থানে কুলী খার মত স্থবিজ্ঞ ও ধৰ্ম্মজ্ঞ ব্যক্তি আর জন্মগ্রহণ করেন নাই। এইরূপ নির্দেশের পরেও, জমীদার-পীড়নের ভয়ানক অপবাদ হইতে তিনি মুর্শিদকুলীকে মুক্তি দেন নাই। পরবর্তী গ্রন্থকারগণ তাহার সত্যনিষ্ঠার গুণানুকীৰ্ত্তন করিয়াছেন (২ )। সত্যনিষ্ঠাসম্বন্ধে সন্দেহ । না করিলেও, দুঃখের বিষয় এবং স্বীকার্য যে, লেখক-মহোদয়ের লেখনী S0S LLLLLLL LLLLLLLLS B BBB BBB BBBBBB BBB BB BBBB BBBBB BBB BBS BBBB uBB BBBB BBB BBB BBB BB BB (১৭৭৬ জানুয়ারী) এই কাগজের একখণ্ড নকল পাইয়া স্বীয় বিখ্যাত মিনিই লিপিবদ্ধ করেন। পরিশিষ্টে জমা কামেল তুমারীর বিশেষ বিৰুরল প্রদত্ত হইল। (২) প্লাডউইন ষ্টুয়ার্ট প্রভৃতি।