বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাঙ্গলার ইতিহাস-অষ্টাদশ শতাব্দী-নবাবী আমল.pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○。 বাঙ্গলার ইতিহাস । * : || ম্যাডকের শিক্ষিত সেনাদল তাহার কৌতুহল উদ্দীপন করিল। সঙ্গে সঙ্গে অতিথির অর্থবলও তাহার অপরিজ্ঞাত রহিল না। সাক্ষাতের পরেই মীরকাসেম্বকে বিদায় দিবার পূর্বকল্পনা তিরোহিত হইল ; তাহাকে অব লম্বন করিয়া স্বীয় মুখ্য উদ্দেশু সফল করিবার অভিপ্রায়ই বদ্ধমূল হইল। এক্ষণে উভয়ে বাদশাহের শিবিরে গমন করিলেন । তথায় পুনরায় বঙ্গের লুষ্ঠিত ভাণ্ডার উন্মুক্ত হইল। বাদশ ও উজীর তাহার নষ্ট রাজ্য পুনরুদ্বারের সহায়তা করতে প্রতিশ্র ত হইলেন । কিন্তু বুন্দেলরাজের আক্রমণ নিবারণ না করিয়া সুজাউদ্দৌলা বাঙ্গলার দিকে যাত্রা করিতে পারেন না। মীরকাসেম প্রস্তাব করিলেন, স্বীয় সেনাদল লইয়া বুন্দেলরাজকে নির্জিত করিবেন, উজীর ইতিমধ্যে প্রস্তুত হউন। এই প্রস্তাবই কার্য্যে পরিণত হইল। মীরকাসেমের ভূতপূৰ্ব্ব সেনানী মীর নজফ খাঁ এক্ষণে বুন্দেলরাজের অধীনে নিয়োজিত হইয়াছিলেন। মীর কাসেম সদলে অগ্রসর হইলে কিয়ৎপরিমাণে সমরুর সুশিক্ষিত সেনাদলের যুদ্ধ-কৌশলে এবং কিয়ৎপরিমাণে মীর নজফের আনুকূল্যে বুন্দেলরাজ কল্পিত আক্রমণ হইতে বিরত হইলেন। ( ১ ) অনতিবিলম্বে মীরকাসেম প্রত্যাবৃত্ত হইলে সন্ধির কথা স্থিরীকৃত হইল। মীর কাসেমৃ স্বীকৃত হইলেন,–‘বিহারের সীমায় প্রবেশের পর হইতে যত দিন অযোধ্যার সৈন্ত র্তাহার সহায়তা করিবে, তত দিন মাসিক এগার লক্ষ টাকা বৃত্তি প্রদান করবেন ; ইংরেজ ও মীরজাফরের সম্পত্তি উভয় পক্ষে তুল্যাংশে বিভক্ত হইবে স্ববাদারীতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইলে বাদশাহী পেস্কস যথানিয়মে প্রদান করিবেন এবং প্রয়োজন হইলেই সুজাউদৌলাকে সৈন্ত সাহায্য দিবেন’ । ( ২ ) এ দিকে নক্সের কলিকাতা প্রত্যাগমনের পরে কৰ্ম্মনাশা ও দুর্গাবতী তীরস্থ ইংরেজ-সেনাদলের মধ্যে বিরাগের বৃদ্ধি হইতেছিল। মীর কাসেমের কয়েকজন অনুচর নানা প্রকার প্রলোভনে অনেককে বিরূপ করিয়া তুলিল । ক্রমশঃ নানাজাতীয় যে ইউরোপীয় সেনাদল এই বিদ্রোহ ব্যাপারের পথদর্শক, তাহীদের অনেকে কৰ্ম্মনাশা পার হইয়া বিপক্ষ দলে যোগদান করতে চলিল । সেনাদলের মধ্যে যে পুরস্কার প্রদানের কথা ছিল, তাহা কাৰ্য্যে পরিণত হয় নাই, ইহাই অনেকের অসন্তোষের কারণ এক্ষণে মীরজাফর লক্ষাধিক মুদ্র ( ) মুতাক্ষরীণ ৩য় খঃ ২৩ পৃঃ ও ২য় খঃ। ( ) মুতাক্ষরী৭–তৃতীয় খণ্ড ।