বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়।] ব্ৰাহ্মণবর্গ। >\o শ্ৰুতির আশ্রয়াবলম্বী। এতদুভয় কারণ একত্র হওয়াতেই শ্রেীতধৰ্ম্মাবলম্বিগণের অনেকের এক দিকে অদ্বৈতবাদে ঘৃণা, অন্য দিকে শ্রুতিশাস্ত্রে ভক্তি দ্বিগুণতর হওয়ায় ; এক দিকে শ্ৰুতির মানরক্ষা অন্য দিকে তৎস্কন্ধ হইতে অদ্বৈতবাদ-কলঙ্ক মোচন করিতে গিয়া, এক দিকে শ্রুতি-উক্ত খণ্ড শ্লোকের দ্বারা দ্বৈতবাদাবলম্বন, অন্য দিকে অদ্বৈতবাদকে অবৈদিক বলিয়া কথন, এবং তাহার কলঙ্ক সেই অদ্বিতীয় মহাপুরুষ শঙ্করাচার্য্যের ঘাড়ে চাপান হইয়াছে । এই দোষে ব্যক্তি বিশেষ কেবল দোষী নহে, শাস্ত্রাদিও যথা “বেদার্থবৰ্ম্মহাশাস্ত্ৰং মায়াবাদমবৈদিকম্। ময়ৈব কথিতং দেবি জগতাং নাশকারণম্।” পদ্মপুরাণ । --হে দেবি, বেদধৰ্ম্ম অতি উৎকৃষ্ট ধৰ্ম্ম ; কিন্তু মায়াবাদ অবৈদিক তত্ত্ব, উহা জগৎ ধ্বংসকরণার্থে আমা-কর্তৃক কথিত হইয়াছে —অথচ এই পদ্মপুরাণ কৰ্ম্মফল ও মায়াবাদের ছায়ায় পরিপূর্ণ। বস্তুতঃ অদ্বৈতবাদ তত্ত্ব শঙ্করাচার্য্যের উদ্ভাবিত নহে, তিনি কেবল যুক্তি দ্বারা উহার সম্প্রসারণ করিয়াছেন মাত্র। শঙ্করাচার্য্যের যুক্তি-তরঙ্গের একমাত্র ব্যাপ্ত ফল এই দাড়াইয়াছে যে, তাহার সময় হইতে যোগাবলম্বন করিলে, সন্ন্যাস ভিন্ন উপায় নাই। পূর্বে তাহ ছিল না, তাহা উপরে প্রদর্শিত হইয়াছে, তখন সন্ন্যাস গ্রহণ ইচ্ছাধীন ছিল । রামায়ণের প্রথম কাণ্ডে ত্রয়ন্ত্রিংশ সর্গে কথিত আছে যে “উৰ্দ্ধরেতা; শুভাচারে ব্রাহ্মং তপ উপাগমং” এবং “লক্ষ্মা সমূদিত ব্রাহ্ম্য ব্ৰহ্মভূতে মহাতপা:"