বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২ বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । দ্বিতীর করত, নানাবিধ ফল পুষ্প আহরণপূর্বক বাস্তুশান্তি করিয়া গৃহপ্রবেশকাৰ্য্য সমাধা হইল –ইতি ভাব। এরূপ অরণ্যবাসে সামান্য কুটার বোধ হয় কোটাশ্বর নৃপতির অট্টালিকা অপেক্ষা শতগুণ শান্তি মুখের স্থান । ७क़* शहम बङांबनड अनझाब अज्ञझऊ शक्कृिश्छूि११ যথার্থই বনদেবতা-স্বরূপ । ব্রাহ্মণের এই সময়ে বিদ্যাবিষয়ে অত্যুন্নত, সাংসারিক সকল কাৰ্য্যে বিধিপ্রদানের ক্ষমতা-প্রাপ্ত, দয়াশীল কিন্তু নীচবর্ণের প্রতি বিধিদানে নিষ্ঠর, অতিথিপ্রিয়, কিঞ্চিৎ কোপনস্বভাবযুক্ত, কিন্তু রাজস্থানে সময়ে সময়ে অন্যের অপরিজ্ঞাত ভাবে চিত্তের স্বাধীনতা বলি দিতে ক্রটি কারতেন না। যেমন অল্পেই রাগযুক্ত হইতেন, তেমনি অল্পেই আবার পরিতুষ্ট হইতেন । ইহাদিগের প্রাত্যহিক বৃত্তি সাধারণতঃ প্রাতে সন্ধ্যাবন্দনাদি প্রাতঃকাৰ্য্য সমাপন করিয়া অন্যান্য মাধ্যহিক যাগাদি দেবকার্য্যের আয়োজন করিতেন । অপরাহ্লে অধ্যাপন এবং অন্যান্য বিষয়-কৰ্ম্ম সমুদয় নিম্পন্ন করিয়া পুনর্বার সায়হ্নিক দেবকার্য্যে প্রবৃত্ত হইতেন। ঋষিকুমারীরা পশুবৎ অজ্ঞ ছিলেন না, কথিত দেবকাৰ্য্য সমুদয় এবং শাস্ত্রালোচনায় তাহাদিগের প্রবেশাধিকার ছিল । ইহার অপরাপর গৃহকাৰ্য্য সমুদয় নিম্পন্ন করিতেন । শিষ্যবৰ্গ দাসবর্গের ন্যায় গুরুর আজ্ঞামত নির্দিষ্ট কৰ্ম্ম সমুদয় সম্পন্ন করিতেন। ব্রাহ্মণের চারিজাতীয় স্ত্রীই বিবাহ করিতে পারিতেন, এবং ইহঁদের মধ্যে বহুবিবাহের বহুল উল্লেখ দেখা যায়। তদ্বিষয় যথাস্থানে আলোচিত হইবে।