বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ్న? বালীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত। छूिजैौ॥ পৃথক লক্ষিত হইলেও, অন্তঃপ্রকৃতি নির্বিশেষে একরূপ ছিল। রামায়ণে যথায় যথায় যাগ-যজ্ঞাদি মহোৎসবের ব্যাপার, তথায়ই ভিন্ন ভিন্ন রাজগণকে একত্রে আমোদ আহলাদে নিমগ্ন থাকিতে দেখাযায়। দশরথের পুত্ৰকামনায় যে যজ্ঞ হয়, তাহাতে আর্য্যাবর্তের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত সমস্ত রাজবর্গ একত্র সমবেত হইয়াছিলেন, তদ্রপ অন্যান্য মহোৎসবেও । মহাভারতে রাজা যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় এবং অশ্বমেধ যজ্ঞে ও অন্যান্য উৎসব-কালেও ঐরূপ সোঁহাদের পরিচয় পাওয়া যায়, কিন্তু তথায় আবার রাজাদিগের আপন। আপনির মধ্যে বিবাদের ও অভাব নাই । রামায়ণে সেরূপ দৃষ্টান্ত অতিবিরল। অন্য কারণ পরিত্যক্ত হইলেও কেবল ইহার দ্বারাই তৎকালে রাজাদিগের পরম্পরের সহ সদ্ভাবের অবস্থান প্রমাণীকৃত হইতে পারে । আর্য্যবংশের এই সময়ের রাজ্য-সংস্থানের ব্যবস্থা অবলোকন করিলে, ইউরোপ খণ্ডের খৃষ্টীয় শতাব্দীর মধ্যমকালীয় ফিউডাল রাজ্য-বিভাগের কথা মনে উদয় হয়। বস্তুতঃ পরস্পরের মধ্যে অল্প বৈলক্ষণ্য ; এবং সেই বৈলক্ষণ্য ব্যতীত ভারতীয় রাজ্য-সংস্থান ফিউডাল নিয়মেই সংস্থাপিত ও পরিবৰ্দ্ধিত বলিয়াই বোধ হয়। এতদুভয়ের উৎপত্তি বিষয়ে বিশেষ বিভিন্নতা দৃষ্ট হইবে না। রোমক সাম্রাজ্যের অধঃপাতে বর্বর জাতিরা যেমন যুদ্ধাধিকারান্তে, বিগ্রহলব্ধ বস্তুর বিভাগে বিশেষ বিশেষ ভূখণ্ড লাভ করিয়া, তাহাতে একেশ্বরত্ব বিস্তার করিয়াছিল, আবার সেই সকল ভূখণ্ড