বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉○* বাল্মীকি ৪ তৎসাময়িক বৃত্তান্ত। তৃতীয় আভ্যন্তরিক অত্যাচার থাকিলেও তিনি প্রজাগণকে বছিঃশক্ৰ হইতে রক্ষা করিয়া থাকেন। অত্যাচারে উত্তেজিত হইলে উৎসাহের বৃদ্ধি হয়, প্রজাগণ এই সময়ে উৎসাহযুক্ত হইয়া পরস্পর সংমিলনে আত্মোন্নতি করিয়া গন্তব্য স্থানে অগ্রসর হইতে থাকে । কিন্তু ভারতে ইহার বিপরীত ভাব দাড়াইয়াছে। এখানে প্রজাদের মধ্যে আত্মবিরোধ, ইহার এক পক্ষ ব্রাহ্মণগণ, অপর পক্ষ সাধারণ জনবর্গ। সাধারণ জনবর্গের প্রতি দ্বিবিধ অত্যাচার, প্রথমতঃ রাজার, দ্বিতীয়তঃ ব্রাহ্মণের। এতদুভয় কারণে তাহাদিগের চক্ষু উন্মলিত হইবার অবসর হয় নাই। ব্রাহ্মণের। যদিও কিছু পূর্বে আত্মদোযোদ্ভাবিত কলহে জয়লাভ করিয়াছিলেন, তথাপি প্রপীড়িত সাধারণবর্গের সম্মিলন এবং সাহায্য অভাবে তাহাদের সে জয়লাভ দেশীয় মঙ্গলে ফলবান না হইয়া মিথ্যাদৃষ্টিবহু জাতীয় উচ্চতার পরিবদ্ধক হইয়াছিল; এনিমিত্ত তাহাদের শ্রেণী পূজ্য হইয়াছিল বটে, কিন্তু কোন ব্রাহ্মণ একাকী হইলে, ক্ষত্রিয় রাজারা তাহাকে যে কলে চালাইতেন, প্রায় সেই কলে চলিতেন । পুনশ্চ ব্রাহ্মণের জাতীয় উচ্চতায় পরিতুষ্ট এবং সাংসারিক বিষয়ে অল্পই মায়াযুক্ত ছিলেন । এই সকল কারণে রাজার যথেচ্ছাচার নিবারণের উপায়, ও রাজাচার চিরবন্ধনযুক্ত এবং সুফলপ্রসূতকরণপ্রণালীর অভাব দৃষ্ট হয়। যদিও কখন কোথা তাহার উল্লেখ দেখা যায়, তাহা নামমাত্র অথবা ক্ষণফলপ্রদায়ী ব্যতীত অধিক শক্তিসম্পন্ন ছিল না । আবার এরূপ সমাজের উপর র্যাহার আধিপত্য, তাহার এবং তাহার রাজ্যের পরি