বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ86 বাল্মীকি ও ভৎসাময়িক বৃত্তান্ত। তৃতীয় গ্রন্থের মৰ্ম্মানুসারে রাজারা আপন আপন ক্ষমতায় দেবত্বভাব সংযোজিত,করিতে ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন । এই ব্যস্ততার সূত্রপাত মিরোবিঞ্জীয় রাজাদিগের আমল হইতে হয়। কিন্তু অপরিচিত ভূভাগে, অপরিচিত ধৰ্ম্মে পরিণত সহচর বৰ্ব্বরেরা সে মৰ্ম্মে প্রবেশ করিতে অক্ষমতাবশতঃ, এবং ওডিন প্রভৃতি পূর্ব পূর্ব দেবশ্রেণীতে ভক্তিচু্যত হওয়ায়, এখন রাজাকে কেবল দস্থ্যবৃত্তির অধিনায়ক স্বরূপ দেখিতে লাগিল । সুতরাং মিরোবিঞ্জীয়দিগের চেষ্টা ফলবতী হইতে পায় নাই। কালবিঞ্জীয় রাজাদিগের সময়েও এই চেষ্টা আরম্ভ হয়, কিন্তু নূতন আকারে। এ বংশেও পেপিন, হষ্টল এবং চার্লস মার্টেল পর্য্যস্ত, প্রজাগণের বিশ্বাসে রাজা কেবল বলাধিনায়কমাত্র ছিলেন । তৎপরে পেপিন ঐ দেবত্বলাভের জন্য কত চেষ্টা করিয়াছিল, এবং শালেমান কতদূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন, তাহ ইউরোপের মধ্যমকালীয় ইতিহাসে অল্পজ্ঞানযুক্ত ব্যক্তিও জ্ঞাত আছেন বোধ হয়। খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীর শেষ ভাগে এই ক্ষণ প্রতিষ্ঠিত দেবত্বভাবের উপর ভক্তির অনেক হ্রাস হওয়াতে, রাজতন্ত্র ছন্ন ছাড়া হইয়া যায় এবং তদ্বিনিময়ে ফিউডাল প্রথা পুষ্ট হইতে আরম্ভ হয় । এই ফিউডাল প্রথাই ইউরোপের ভাবি উন্নতির পথদর্শকস্বরূপ । রাজার দেবত্বভাবে বিশ্বাস প্রজাদিগের অত্যাচার সহিষ্ণুতার এবং হেয় প্রকৃতি প্রাপ্ত হওয়ার এক প্রধানতম কারণ । এতদ্বিষয়ে সৰ্ব্বাপেক্ষা রুসিয়া রাজ্যের ইতিহাস ভয়ঙ্কর প্রমাণ । রুসিয়া সাম্রাজ্যের অধীশ্বর ভীষণ ইত্যভি