বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

't a বাল্মীকি ও তৎসামরিক বৃত্তান্ত । তৃতীয় অতঃপর রাবণ অনেকক্ষণপৰ্য্যন্ত ব্রাহ্মণভাবে সেই কুটীরে সীতার সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিয়াছে এবং সীতারও তাহাকে ব্রাহ্মণ বলিয়াই প্রতীতি হইয়াছে। রাবণ অনার্য্য, রাবণ রাক্ষস, রাবণ দেবদ্বেষী, রাবণ বেদপ্রতিপাদক ধৰ্ম্মের বিরোধী, রাবণ যজ্ঞহন্ত, রাবণ পাপাবতার, তথাপি রাবণ যুদ্ধবিদ্যায় রামের সমকক্ষ, সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত, বেদবিদ্যায় অভ্যস্ত, এবং হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্রের এরূপ গৃঢ়মৰ্ম্মজ্ঞ যে পরিব্রাজক রূপ ধরিয়া, যতক্ষণ না সীতাকে আত্মপরিচয় প্রদান করিয়াছিল, ততক্ষণ সীতাকে তাহার ব্রাহ্মণত্বে ভ্রান্তিময়ী করিয়া রাখিতে সমর্থ হইয়াছিল। এ সকলের দ্বারা সুন্দররাপে অনুভূত হয় যে সেই সময়ে রাজাদের মধ্যে কেহ কদাচ মূৰ্খ থাকিতেন না। প্রায় সকলেই নানা শাস্ত্রে পণ্ডিত হইতেন। (২৮) যদিচ অনেকের কার্য্য সৰ্ব্ব সময়ে নীতিশাস্ত্রানুসারি হইত না, কিন্তু তাহ বলিয়াই যে সেই সকল শাস্ত্র সম্পূর্ণরূপে তাহদের দর্শনবহির্ভূত ছিল, এমন বিশ্বাস হয় না। বোধ হয়, সুযোগ পাইলে, র্তাহারা ইচ্ছা করিয়াই নীতিশাস্ত্রের বিধি অনেক সময় অবহেলা করিতেন । মনুষ্যপ্রকৃতিই এইরূপ ! অতি আক্ষেপের বিষয় সন্দেহ নাই যে, রাজার সুশিক্ষিত হইয়াও সময়ে সময়ে গুরুতর পাপে লিপ্ত হইতেন। সুশিক্ষিত হইলেও নীতি পথে সীমান্য ব্যতিক্রম ক্ষমাযোগ্য, (২৮) মমুসংহিতার সপ্তম অধ্যায়ে রাজাদিগের শিক্ষাবিষয়ে দ্রষ্টব্য , ।