বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉〈28 বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । তৃতীয় প্রচলিত ছিল। তৎপূর্বে মুদ্রা-প্রচলনের আর কোন নিদর্শন পাওয়া যায় না। কিন্তু এই মুদ্রার বিষয়ে ইহাও লিখিত আছে যে, আব্রাহাম যৎকালে এফুনকে চারি শত শেকল প্রদান করেন, উহা গণনায় নিম্পত্তি না হইয়া ওজনের দ্বারা প্রদত্ত হয় । এনিমিত্ত বোধ হয় যে উহার প্রত্যেকের পরিমাণের উপর বড় বিশ্বাস না থাকায়, দানাদানকালীন ওজন-পদ্ধতি গৃহীত হইত। সুতরাং উহা কোন টাকশাল হইতে নিৰ্দ্ধারিত পরিমাণ প্রাপ্ত হইয়া, এবং ঐ পরিমাণ-রক্ষার্থে বিশেষ কোন উপায়-যুক্ত হইয়া, বাহির হইত এমন বোধ হয় না। এখন পৃথিবীর মধ্যে প্রাচীনতম গ্রন্থ ঋগ্বেদে এ বিষয়ের কোন উল্লেখ পাওয়া যায় কি না তাহ দেখা কৰ্ত্তব্য । ঋগ্বেদের বহু স্থানে উল্লেখ আছে, এক স্থান মাত্র উদ্ধত করা যাইতেছে। যথা--- “দশো হিরণ্যপিণ্ডান দিবোদাসাদ অসানিষম।”—৬৪৭৷২৩ । এই হিরণ্যপিও কিরূপ পরিমাণ-বিশিষ্ট, তাহা ঋগ্বেদ দ্বারা স্পষ্টরূপে জ্ঞাত হওয়া যায় না। অনুমান হয় যে, উহ। সাদৃশ্যে শেকলের সঙ্গে সমজাতীয় হইতে পারে, অর্থাৎ শেকল পাশ্চাত্য ভূমিতে যে ভাবে যে অবস্থায় চলিত, ভারতে হিরণ্যপিণ্ডের অবস্থা তদপেক্ষ উন্নত বা অবনত ছিল না। তথা হইতে রামায়ণের সময়ে অবতরণ করিলে দেখা যায় যে, এখন আর হিরণ্যপিণ্ডের ব্যবহার নাই, তৎপরিবর্তে সুবর্ণ ও নিস্ক প্রচলিত হইয়াছে।