বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়] ক্ষত্ৰিয়বর্গ। ১৭১ পূজনীয় নাম সাগরগর্ভস্থিত মহাৰ্ছ রত্ন এবং বিজন-অরণ্যস্থিত সুবাস কুমুমের সহ সমভাবত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে। বাল্মীকির সাময়িক সমাজ বীরবীৰ্য্য সাহস ইত্যাদির দ্বারা প্রতিপর্বে প্রতিফলিত । রামায়ণের যুদ্ধকাণ্ড বীরত্ব সাহস এবং স্বপক্ষ-হিতৈবিতার আভাসে পরিপূর্ণ। যুদ্ধকৌশল এবং স্বপক্ষরক্ষণচতুর্ঘ্য নানাবিধ ও চমৎকার। যুদ্ধপ্রণালী, ব্যুহরচনা প্রভৃতি হোমরিক সময়ের তত্তং বিষয়ের সহ সমজাতীয়। যুদ্ধস্থলে সেনাপতিই সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা, তাহাদের হারি-জিতের উপর যুদ্ধের ফল প্রধানতঃ নির্ভর করিয়া থাকে। আনুষঙ্গিক সৈন্যগণ পশুবৎ মরিতেছে ও মারিতেছে । জয়োদ্দেশ্য নগর সকল প্রাকার-পরিখায় সমাবৃত, শক্রগণের পক্ষে সহসা সুগম নহে । দেশরক্ষার্থ যদ্রপ দুর্গাদি স্থাপিত, রক্ষিত এবং অবরোধকাল ও অসময়ের নিমিত্ত দুর্গে যেরূপ দ্রব্যাদি সঞ্চয় করিয়া রাখা হইত, রাজধৰ্ম্ম-প্রস্তাবে তাহা যথাযথ বর্ণিত হইয়াছে। সৈন্য চারিবিধ ; হস্তী, অশ্ব, এবং রথে আরোহণ করিয়া যাহারা যুদ্ধ করে, তাহার এবং পদাতি (৪০)। অস্ত্র নানাবিধ ; শরাসন, চৰ্ম্ম, শর, খড়গ, মুদগর, পট্টিশ, শূল, পরশু, চক্র, তোমর, শক্তি, পরিঘ, গদা ইত্যাদি। এতদ্ব্যতীত শতন্ত্রী(৪১) (৪০) বেদে দ্বিবিধ সৈন্ত দৃষ্ট হয়, রথী ও পদাতি । (৪১) যদ্বারা শতজনকে এককালে হনন করা যায়, তাহাকে শতন্ত্রী অস্ত্র বলে। এই শতয়ী অস্ত্র কি ? এই অস্ত্র শব্দার্থ-অনুরূপ সার্থক না হউক, একেবারে নিরর্থক বলিয়াও বোধ হয় না । গঙ্গার খাল কাটিবার সময় বিহাটের নিকট ভূগর্ভে নিহিত যে একটা গ্রামের ভগ্নাবশেষ উদ্ধার হয়,