বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়| ক্ষত্ৰিয়বর্গ। צ"לצ হইত। অস্ত্রব্যবহারসময় ব্যতীত তাহারা জীবিকার্থে যদৃচ্ছ। আত্মবৃত্তি অথবা শূদ্রের উদ্ধে অপর যে কোন বৃত্তির অনুসরণ করিত। সৈন্যমধ্যে শক কিরাত যবনাদির উল্লেখ দেখা যায়, এজন্য বোধ হয় তাহারাও নিৰ্দ্ধারিত বেতন বা বৃত্তিভোগে সৈনিকশ্রেণীভুক্ত হইত। যে সকল ব্যক্তি আপন প্রভুর আহান মত অস্ত্রহস্তে আসিতে কোন কারণে সমর্থ না হইত, তাহারা তন্নিমিত্ত ইউরোপীয় ফিউডাল সাময়িক এসকুয়েজ (escuage) নামক করের ন্যায় ক্ষতিপূরক কোন কর দিতে বাধ্য ছিল কি না, তাহা জানি না । সৈন্যসংগ্রহপ্রথা যেরূপ দেখা যাইতেছে, তাহাতে বোধ হয় যে প্রজারা প্রভুর আদেশমত অস্ত্ৰ শস্ত্র গ্রহণ ও যুদ্ধে গমন ব্যতীত যখন অপর সময় যদৃচ্ছা অতিবাহিত করিত, তখন, এমন অবস্থায় তাহারা দৈহিক বলের পরিচালনা যদিও ঘরে ঘরে করিত, কিন্তু নিত্য নূতন যুদ্ধকৌশল শিক্ষার সুযোগ অল্পই পাইত ; সুতরাং তাহারা যে রণস্থলে পালে পালে নিপাতিত হইত ও করিত ইহা অসম্ভব নহে। কেবল যাহারা বিদ্বান বুদ্ধিমান ও নূতন তত্ত্ব উদ্ভাবনে পটু, এবং যাহাদের অশিক্ষার সহিত প্রভুত্বহানিরূপ ফল যোজিত, তাহাদিগকে কাজেই নানারূপ উপায়ে এবং গরজে বহুতর যুদ্ধ-কৌশলী হইতে হইত। এইনিমিত্তই বোধ হয় প্রাচীনসাময়িক যুদ্ধের জয় পরাজয় তদ্রুপ লোকের এক যুদ্ধে এক জয় পরাজয়ের উপরেই অধিক নির্ভর করিত। । উৎকৃষ্ট কৌশলে এবং উৎকৃষ্ট অস্ত্রে রামের জয়ে এবং তদ্বিপরীতে রাবণের পরাজয়ে আমাদের পক্ষে সুন্দর শিক্ষা