বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉b り বাল্মীকি ও তৎসামরিক বৃত্তান্ত । [ङ्खैौ॥ আবার দেখ, যে ওয়ালিদ খলিফ তাসমুদ্রকরগ্রাহী সম্রাটু, উদয়গিরি হইতে অস্তাচল পৰ্য্যন্ত যাহার রাজত্ববিস্তার, তিনিও ভারতে সিন্ধু প্রদেশের অংশমাত্র জয় করিয়া রক্ষণে সমর্থ হইলেন না, কিন্তু দাসানুদাস কুতবুদিন সচ্ছন্দে ভারত-সিংহাসনে আরোহণ করিল । যে রোমরাজ্য বিশ্বব্যাপি, কয়েকজন বৰ্ব্বরে তাহার ধ্বংস করিল। ইহার কারণ কি ? পূর্বার্জিত উৎকর্ষ, কৌশল, কৃত্রিমৰল সকলই ত ছিল, কিন্তু সে সকল ব্যবহার করিবার লোক ছিল না ; পূর্বের ইচ্ছ। বিগত হইয়াছে, উৎকর্ষের মলভাগ বিলাস এখন সৰ্ব্বস্বধন, সুতরাং অধঃপতন রাখে কে ? বিজ্ঞানোদ্ভব কৃত্রিম বলের পূর্বে মল্লযুদ্ধ বহুপরিমাণে রণস্থলে অভিনীত হইত। কিন্তু সে দিন ইহুকালের মত চলিয়া গিয়াছে। ভারতে মল্লক্রিয়া এখনও প্রচুর আছে, এত আছে যে, পৃথিবী হইতে যদি আজি বিজ্ঞান উঠিয়া যায়, তবে কালি আবার ভারত জগতের মধ্যে সর্বপ্রধান জাতীয় পদবীতে পদার্পণ করে। সে দিন একটা মল্লযুদ্ধ দেখিলাম, তাহাদের অঙ্গচালনা এবং মল্লক্রিয়া অবশ্যই অপূর্ব, কিন্তু এ মল্লযুদ্ধ এখন আমোদস্থলীয়। যাহাতে আগে দেশ রক্ষা হইত, যাহাতে আগে জাতীয় ভাগ্য নিরূপিত হইত, এখন তাহা সাধারণের চিত্তবিনোদনের উপায়। মানসিক উৎকর্ষ এবং বিজ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা এ যুগের অধিনায়ক । ভারত-সন্তান, শরীর মন সুস্থ রাখিয়া তাহার উপাসনা কর, অভীষ্ট লাভ হইবে ।