বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

うぬぐり বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । চতুর্থ সেইহেতু তাহাদিগের সকলকেই নিকৃষ্টবৰ্গ মধ্যে গণনা করায় অন্যায় হয় নাই। মনু ও রামায়ণ হইতে উদ্ধতাংশের যে ঐক্য প্রদর্শিত হইল, উহা সামাজিক শাসন সম্বন্ধে । এখানে উহা এই অর্থের প্রতিপোষক বুঝিতে হইবে যে মনুর অনুরূপ শাসন বাল্মীকির সময়ে এতদূর প্রবর্তিত হইয়াছে যে, পরিবর্তনশীল সামাজিক শাসনেও তাহ লক্ষিত হয় । অতঃপর বাল্মীকির সময়ের নিকৃষ্টবৰ্গ হিন্দুজাতিবিচারের কোন পৰ্য্যায়-ভুক্ত এবং তাহাদিগের প্রতি কৃত ব্যবহারমাল কি কারণে বদ্ধমূল হইয়া আসিয়াছিল, তাহা যথাসম্ভব এ স্থলে আলোচনা করা যাইতেছে । জাতিবিচার-সম্বন্ধে আদৌ বোধ হয় যে, মানববংশে পশ্বাচার এবং মার্জিত স্বভাবের সন্ধিসময়ে প্রকৃতি-বিম্বে প্রতিবিম্বিত হইয়া যখন মানবচিত্ত বিকশিত হইতে থাকে, তখন প্রত্যেক চিত্তের ক্রিয়াজনিত যে বৈষম্য উপস্থিত হয়, সেই বৈষম্যই জাতিবিভেদের মূল কারণ। এবং তাহ বন্ধনের নিমিত্ত অভাববিমোচক যে বৃত্তি, তাহা দৃঢ় রজ্জ্বস্বরূপ। আমরা যাহাকে প্রকৃতিস্থ মনুষ্যত্ব বলিয়া থাকি, যথায় যথায় তাহার অবস্থান, তথায় তথায়ই কোন না কোন নিয়মের অধীন হইয়া জাতি-বিভেদ বিরাজ করিতেছে। এখন বলা কৰ্ত্তব্য যে, জাতিভেদ কাহাকে বলে,—বৃত্তি অনুসারে সম্প্রদায়ভেদই জাতিভেদ । এই জাতিভেদ দেশ-কাল-ভেদে রূপান্তরপরিগ্রাহী হইতে পারে, কিন্তু মূলানুসন্ধান করিলে উহা সৰ্ব্বত্র একই পদার্থ এবং একইরূপ কারণ হইতে উদ্ভূত বলিয়া প্রতীত হইবে। সভ্যতার পথষ্পশী পেরু এবং মেক্সিকোর আদিম