বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭ বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । [এথম ৩০ । গয়া —মগধরাজ্যের দক্ষিণে । ৩১। বিশাল –গঙ্গার উত্তর এবং গণ্ডকী নদীর পূর্ব ও মিথিলার দক্ষিণস্থ ভূভাগের নাম বিশালা। প্রাচীন বিশালা নগরের বর্তমান নাম “বিসার” । এস্থান-সম্বন্ধে এরূপ ইতিহাস কথিত আছে। সমুদ্রমন্থনের দ্বারা উৎপন্ন সুধাপানে অমরত্ব লাভ করিয়া দেবরাজ ইন্দ্র দৈত্যবল সংহার করিলে, দৈত্যমাতা দিতিদেবী ইন্দ্রকে দমনক্ষম এক পুত্রকামনায় এই স্থানে তপস্যা করেন । ইন্দ্র ইহাতে ভীত হইয়া দৈত্যজননীকে এই স্থানে তপস্যাকালীন পরিচর্য্যা করিয়াছিলেন । অনন্তর দিতিদেবী কৃতকাম হইয়া পবনদেবকে গর্ভে ধারণ করিলেন । ইন্দ্র শঙ্কিত হইলেন এবং গর্ভ নষ্ট করণশিয়ে ছলান্বেষণে প্রবৃত্ত হইলেন। একদা মধ্যাহ্নে দৈত্যজননী যে স্থলে মস্তক রাখিতে হয় তথায় চরণ প্রসারণপূর্বক নিদ্রাগত হইলেন। শরনের এই ব্যতিক্রম দৃষ্টে দিতিকে অশুচি বিবেচনায়, দেবরাজ তাহার গর্ভমধ্যে প্রবেশ করিয়া গর্ভস্থ বালককে খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিলেন, তাহাতে বালক ক্ৰন্দন করিয়া উঠিল । ইন্দ্র তখন ঐ বালককে সম্বোধনপূর্বক কহিলেন “মা রুদ” । অনন্তর দিতি নিদ্রাভঙ্গে আপন অসাবধানতার ফল-অবলোকনে নিস্তব্ধ হইলেন এবং যথাসময়ে সেই খণ্ড খণ্ড পুত্ৰগণ প্রসব করিলেন। ইহারাই ‘মা রুদ’ হইতে মারুত নামে প্রসিদ্ধ হইলেন । এতন্নিমিত্ত এই স্থান পূণ্যভূমি। অনন্তর কিছু কাল পরে অলম্বুষার গর্ভে ইক্ষাকুর বিশাল নামে যে এক পুত্র হয়, তিনিই এই খানে বিশাল রাজ্য স্থাপন করিয়া রাজত্ব করিয়াছিলেন ।