বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূ-বৃত্তান্ত । ৩৭ করিয়া পলায়ন করে, এইরূপ ব্যক্তি সকুলকে যে সমস্ত ক্ষিপ্ৰহস্ত বীরের শরনিকরে বিদ্ধ করেন না, যুাহারা শাণিত অস্ত্র ও বাহুবলে বনচারী প্রমত্ত ভীমনাদ সিংহ ব্যাঘ্র ও বরাহগণকে বিনাশ করিয়া থাকেন, এইপ্রকার সহস্ৰ সহস্ৰ মহারথগণে ঐ মহানগরী পরিপূর্ণ রহিয়াছে। সাগ্নিক গুণবান বেদবেদাঙ্গবেত্ত দানশীল সত্যপরায়ণ মহাত্মা মহর্ষিগণ তথায় নিরন্তর কালযাপন করিতেছেন । রাজ্যবিবৰ্দ্ধন রাজা দশরথ সেই অতুলপ্রভাসম্পন্ন সুরনগরী অমরাবতীসদৃশ সৰ্ব্বালঙ্কারশোভিত অযোধ্যা পালন করিয়াছিলেন।” হেমচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য কর্তৃক অনুবাদ। সজিপ্ত সার। পূৰ্ব্বগত বৃত্তান্ত দ্বারা ভারতের অবস্থা কিরূপ অনুমিত হয় ? দক্ষিণাবৰ্ত্ত জঙ্গলময় অসভ্যনিবাস, কেবল মধ্যে মধ্যে দুই একটী আৰ্য্য ঋষির আশ্রম দেখা যায় মাত্র । তবে যে যে সকল প্রদেশের তদেশে অবস্থান ও নামের উল্লেখ আছে, তাহা অাদে বাল্মীকির সাময়িক কি না তাহাতেই সন্দেহ । যদিই ঐ সকল নাম তৎকালে স্থাপিত হইয়া থাকে, তাহ যেমন অধুনাতন নবাবিষ্কৃত ভূভাগ সকল অসভ্য-নিবাস বা অধিবাসিশুন্য হইলেও ইংরেজপ্রসাদাৎ ইংরেজ নামে জ্ঞাপিত হইয়া থাকে, তদ্রুপ । আর্য্যাবর্ত বহুতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আর্য্যরাজ্যে পরিপূর্ণ। তথায়ও বনভূমির অভাব নাই, কিন্তু