বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়।] ব্রাহ্মণৰগ। ७१ হারা এবং ভস্মশায়িনী হইয়া, রামের সেই বনে আগমন পর্য্যন্ত অনুতাপ করিবেন। এ খানে রামের আগমন যেন অনুতাপকরণের কালনির্ণায়ক-স্বরূপ । তৎপরে রামকে বনে আগত জানিয়া, অনুতাপের কাল পূর্ণ বিবেচনা করিয়া, রামের আতিথ্য করিবার নিমিত্ত অহল্য৷ ‘দর্শনমাগতা’ । রাম অহল্যাকে দর্শনমাত্রে পূজনীয়া জ্ঞানে তাহার পাদগ্রহণ করিলেন। পদ্মপুরাণে গৌতম অহল্যাকে পাযাণময়ী করিলেন এবং মুক্তির যে উপায় কহিয়াছিলেন তদনুসারে রামের পদস্পর্শে পাষাণময়ী অহল্যা পূৰ্ব্ব মূৰ্ত্তি ধারণ করিলেন। এই প্রভেদ দৃষ্ট হইতেছে যে, পূর্বে যিনি ভক্তিতে যাহার পদগ্রহণ করিতেন, এ ক্ষণে তিনিই আপন-উচ্চতা-অনুসারে তাহাকে শুধু পদ দেন না, আবার পদ ধূলি দিয়া মানুষ করিয়া থাকেন ! একের বিলয়ে অপরের আবির্ভাবে যেরূপ হইয়া থাকে, —একজন ক্রমে চিত্ত অধিকার করিতেছেন, চু্যতাধিকার আর একজন মায়াবশতঃ ক্ষণে তথায় দেখা দিতেছেন, বাল্মীকির সময়ে কথিত নূতনত্ব-প্রচলন সত্ত্বে ও সেইরূপ । এখনও বৈদিক ইন্দ্রের প্রাধান্য “সহস্রাক্ষে সৰ্ব্বদেবেন সংকৃতে”—২২৫, স্মৃতিপথে উদয় হয়। যাগ-যজ্ঞাদি কল্পসূত্র এবং ব্রাহ্মণোক্ত বিধানানুসারে সম্পাদিত হইয়া থাকে। উন্নতির মধ্যে শুধু অসংখ্য পশু নহে, পক্ষী পৰ্য্যন্ত অতি অধিকসংখ্যক বলি প্রদত্ত হইয়া থাকে (১।১৪)। যজ্ঞকৰ্ত্তা মুখ্য পুরোহিত চারিপ্রকার, হোতা, উদগীতা, অধ্বযু এবং ব্রহ্মা (১।১৪৩৮)