বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ।] ব্রাহ্মণবর্গ। ৬৯ পরলোক-সম্বন্ধে পুরস্কার ও তিরস্কার অর্থাৎ স্বর্গ এবং নরক এতদুভয়তেই দৃঢ় বিশ্বাস । পুরস্কার’ অর্থাৎ স্বৰ্গবাস পুণ্য কৰ্ম্মের তারতম্য-অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন রূপ। তজ্জন্য ভিন্ন ভিন্ন লোক সকল প্রতিষ্ঠিত। লোকবিশেষে মানুষিক অর্থাৎ ইন্দ্রিয়ায়ত্ত এবং অমানুষিক অর্থাৎ চিত্তায়ত্ত সুখ । যাগ-যজ্ঞাদি কেবল কৰ্ম্মের দ্বারা অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্ট লোক অধিকৃত হয়, তথায় পার্থিব সুখের প্রাচুর্য্যমাত্র ; কৰ্ম্মফল শেষ হইলেই পুনর্বার ভূমণ্ডলে জন্মগ্রহণ করিতে হয়। কেবল যোগ তপঃ প্রভৃতি সাধনেই ব্রহ্মানন্দ লাভ হয়, (এতদ্বিষয় জ্ঞানকাণ্ডে বিবৃত হইবে) । কৰ্ম্মফলাত্মক স্বর্গের ভাব ভারত কোন সময়ে কিরূপ ভাবে ভাবিয়াছে, নিম্নলিখিত বাক্যাবলী হইতে তৎসাময়িক তদ্বিষয়ক অপর বাক্যবলীর সহ সম্বন্ধবিচ্ছেদ করিয়া দেখা যাউক। ঐতরেয় ব্রাহ্মণে “সহস্ৰাশ্বিনে বৈ ইতঃ স্বৰ্গলোকঃ” সহজ কথায়, স্বর্গ পৃথিবী হইতে এক হাজার ঘোড়ার ডাক । —তৈক্তিরীয় ব্রাহ্মণে “দেবগৃহা বৈ নক্ষত্রাণি। য এবং বেদ গৃহী ভবতি ।” —নক্ষত্রনিচয় দেবতার নিবাস, যে ইহা জ্ঞাত সে গৃহযুক্ত হয় —বাল্মীকির সময়ের সারাংশ উপরে কথিত হইয়াছে। বিষ্ণুপুরাণে “মনঃপ্রতিকরঃ স্বর্গে নরকস্তদবিপৰ্য্যয়: । নরক-স্বর্গসংক্তে বৈ পাপপুণ্যে দ্বিজোত্তম ॥” —হে দ্বিজোত্তম, যাহা মনের প্রীতিকর তাহাই স্বর্গ, এবং । তদ্বিপর্য্যয় নরক । অতএব নরক-স্বৰ্গ পাপ-পুণ্যের নামান্তর মাত্র –