বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

च्थाग्न ] ব্রাহ্মণবর্গ। 44 লেও, জীবাত্মা এবং পরমাত্মা উভয়ে এক। (২০) যেমন সূৰ্য্য যে সকল বস্তুর উপর কর প্রসারিত করেন, সেই সেই বস্তুর গুণানুসারে এবং স্থলান্তরে দর্শকের নেত্রদোষানুসারে তদ্বৎ গুণপ্রাপ্ত বলিয়া ভান হয়, জীবাত্মাও অবিদ্যা-প্রভাবে তদ্বৎ পরিচালিত ও মোহযুক্ত ইহা পরিদৃশ্যমান হয়েন। বস্তুতঃ সূৰ্য্যকর যেমন সেই সেই গুণ হইতে নির্লিপ্ত, আত্মাও তদ্রুপ মায়াজনিত মোহ এবং মুখে ও দুঃখে লিপ্ত থাকিয়াও নির্লিপ্ত হয়েন। (২১) পরমাত্মার জীবশরীরস্থ ভাবকে জীবাত্মা এবং স্বভাবস্থ ভাবকে পরমাত্মা পদে অভিহিত করা যাইবে । জীবাত্মা কৰ্ম্মাশ্রয়ী মায়াবন্ধনযুক্ত হওয়ায় যদিও গমনবিমুখ, তথাপি মন অপেক্ষা দ্রুতগামী, নৈকট্য এবং দূরত্ব র্তাহার নিকট উভয়ই সমান, তিনি অন্তর-আকাশে (২০) এতদ্ভাবের বিস্তার ভগবদগীতায় ১৫১৫ “সৰ্ব্বস্য চাহং হৃদি সন্নিবিষ্ট:” ইত্যাদি, পুনশ্চ ৬|১৯৩১ “সৰ্ব্বভূতস্থমাত্মানং সৰ্ব্বভূতানি চায়নি” ইত্যাদি। যোগবশিষ্ঠে ৩৫-৬ “জগন্দ্রমোহয়ং” ইত্যাদি। ব্রহ্মাণ্ডপুরাণান্তর্গত উত্তর গীতায় “অহমেকমিদং সৰ্ব্বং” ইত্যাদি। পুনশ্চ ভগবদগীতায় “অহং বৈশ্বানরো ভূত্ব প্রাণিনাং দেহমাশ্ৰিত: । প্রাণাপানসমাযুক্তঃ” ইত্যাদি। ঘোর পৌত্তলিকতার মধ্যেও “মাতঃ সৰ্ব্বময়ি প্রসীদ পরমে বিশ্বেশি বিশ্বাশ্রয়ে, ত্বং সৰ্ব্বং নহি কিঞ্চিদস্তি ভুবনে বস্তু ত্বদন্যৎ শিবে।” ইত্যাদি, ইতি ভগবতীগীত । রামায়ণে ৪র্থ কাণ্ডে ১৮ সর্গে “হৃদিন্থ: সৰ্ব্বভূতানামাত্মা বেদ শুভাশুভং ” (২১) আত্মা জীবশরীরস্থ হইয়াও কিরূপ নির্লিপ্ত তাহা অর সাজ্যের ছায়। আশ্রয় করিয়া ভগবদগীতায় ১৩২৯-৩৪ স্বনাররূপে বর্ণিত হইয়াছে। পুনশ্চ মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রে . “অয়মাত্মা সদ। মুক্তে নির্লিপ্ত: সৰ্ব্বৰস্বৰু।" ইত্যাদি ।