KBS-5(g sc তজন্তোঃ প্ৰাণিনঃ বন্ধায় ভবতি । ইতি কারণাৎ ইমান পূৰ্ব্বোক্তান চতুরঃ সেতু দানপূৰ্ব্বৈশচতুভিস্তত্ব। উল্লঙ্ঘ্য নরঃ পুরুষাৰ্থার্থী শ্ৰেয়ঃ অমৃতং স্বৰ্গতিং জ্যোতিরাপ্তিং চ শ্রয়তে প্ৰাপ্নোতি ; শ্রেয়ঃ সুকৃতাতিশয়ং, অমৃতং দেবত্বং, স্বৰ্গতিং উদ্ধগতিং জ্যোতিরাপ্তিং চ প্ৰাপ্নোতীত্যৰ্থঃ ! যদি সংসারসাগর হইতে মুক্তি চাও তবে দুল্ল জঘ্য চারিটি সেতু পার হও । সেতু যেমন জলপ্রবাহ ভেদক হয়। সেইরূপ অখণ্ডারস ভেদক চারিটি সেতু আছে। দান না করা, ক্ৰোধ, অশ্রদ্ধা এবং অসত্য এই চারিটি অখণ্ডৈক রস ব্ৰহ্মকে পাইতে দেয়না । ব্ৰহ্মে অৰ্পণ করিতেছি। এই ভাবনার যে দান তাহাই দান। দেহ ভাৰ্য্যা পুত্ৰাদি জন্য যাহা ব্যয় করা যায় তাহা আদান । দানের দ্বারা আদানকে উল্ল জঘন কর । দেহাদির জন্য যাহা ব্যয় কর তাহাও ব্ৰহ্মাপণ। এই জানিয়া ইহা নিত্য অভ্যাস কর । কি রূপে ব্ৰহ্ম্যৰ্পণ অভ্যাস করিবে ? ঋত ও সত্য স্বরূপ ব্ৰহ্ম হইতে প্ৰথমে জন্মিয়াছি। দেহ ভাৰ্য্যা পুত্র-কলাত্ৰাদিতে সমষ্টি ভাবে যিনি আছেন সেই হিরণ্যগৰ্ভই আমি ইহা জানিয়া সমস্তই ব্ৰহ্মাৰ্পণ ইহা ভাবনা করিবে । আক্ৰোধ বলে ক্ষমাকে । ক্ষমা অভ্যাসে ক্ৰোধ সেতু পার হও । মন চক্ষু প্ৰভৃতি দেবতা দিগের উদ্ধে ব্ৰহ্মের নাভি। বুদ্ধি বা প্রকৃতি পৰ্য্যন্ত ক্ৰোধ। আমি ব্ৰহ্ম এই ভাবনা করিলে বুদ্ধির উপরে তোমার স্থিতি হইবে। বুদ্ধিরও উপরে নিনি। তিনি ব্ৰহ্ম । “আমি ব্ৰহ্ম।” ভাবনা রূপ অক্রোধ দ্বারা, প্রকৃতি পৰ্য্যন্ত সমস্তই যাহা ক্ৰোধ, তাহা ত্যাগ কর । শ্রদ্ধা দ্বারা অশ্রদ্ধা সেতু পার হও । পরমাত্মাই আছেন। পরমাত্মাই প্রয়োজন অন্য কিছুরই প্রয়োজন নাই ইহাই ভাবনা করি। যে পুরুষ আমাকে সবই দিতেছেন সেই দেবতাকে আমি পাইয়াছি আমিই আত্মারূপে সেই দেবতা, এই আস্তিক্য বিশ্বাসরূপ শ্রদ্ধা দ্বারা অশ্রদ্ধা সেতু পার হও । সত্যস্বরূপ ব্ৰহ্মকে পাইয়া প্ৰতিভাসিক বিশ্বকার dro
