বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ଈ୯୬' ' frísୱ-ସ୍ୱ ମ୯ জ্যামেকার পাৰ্ব্বত্য পণে মোটরে লমণ না করলে বোঝা যাবে না জ্যামেকা ক'ত সুন্দর দ্বীপ ৷ পাহাড়ের ধারে ঘন বঁাশবনের মধ্য দিয়ে রাস্তা, বঁাশ পাতার ফাক দিয়ে দুরের নীল সমুদ্র দেখে দেখে আমাদের আশ মিটছিল না, সরু সরল এরিক গাছে পৰ্ব্বতসানু শ্যামল হয়ে আছে। কাছেই হয়তো কোন গ্ৰাম্য গির্জার ঘণ্টাধ্বনি নিস্তািন্ধ বাতাসে ভেসে আসচে, বনের মধ্যে কত কি পাপীর কুজন ! স্পারট, পাহাড়ে চন্দ্র ও গ্ৰহাদি পৰ্য্যবেক্ষণ করার জন্যে একটা বৃহৎ মানমন্দির হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্থাপিত হয়েচে ; তার ব্ৰেঞ্জের ডোম অনেক দূর থেকে রোদে চক্‌চক্‌ করছিল। পোর্ট এণ্টনিওর সম্মুখস্থ সমুদ্রে এই শ্যামল দ্বীপটী ভ্ৰমণকারীদের অত্যন্ত প্রিয়। অদূরে রিও কোবার নদী-এর উভয় তীরে যেমন ফাৰ্ণ, দীর্ঘ তুণরাজি, বঁাশবন, নারকেল গাছ, কোকো ও মার্টল গাছের শোভা জ্যামেকার কোন স্থানে এমন দেখা যায় না । এখানে একটা ক্ষুদ্ৰ হোটেল আছে, তার মালিক জনৈক বৃদ্ধ নিগ্রে । টুরিষ্টদের কল্যাণে হোটেলের অবস্থা খুবই ভাল বলে মনে ছোল।। রিও কোবার পার হয়ে অল্প দূরে মাউণ্ট ডিয়াবোলো ২৩০০ ফুট উপরে পাহাড়ের ওপর একটা সমতল স্থান আছে, সেখানেও একটা আছে। পরিষ্কার দিনে হোটেলের বারান্দায় দাড়িয়ে স্পাইগ্লাস দিয়ে দেখলে বহুদূরে উত্তরে কিউবা দ্বীপ বেশ স্পষ্ট দেখা যায়, দক্ষিণে পানামা খালের অভিমুখে বিস্তৃত কারিচ সাগরের রৌদ্রদীপ্ত বক্ষে ছোট ছোট শ্যামল দ্বীপরাজি কৃষ্ণকায় মুক্তপক্ষ জলচর পাপীর মত দেখায়।