বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Şა თ\ე বিচিত্র-জগৎ নদীর মুখ বেয়ে দশ মাইল উজান দিকে যাবার পরে নারিকেল গাছ ক্রমশঃ পাৎলা হয়ে আসতে লাগল। তাদের স্থান অধিকার কুরলে রবারের বাগান আর বুড়োমানুষের দাড়ির মত দেখতে পরগাছা ঝোলানো বড় বড় গাছ। এখানে আমরা একটা ছোট গ্ৰাম দেখতে পেলাম। আমাদের ষ্টীমার দেখে একদল লোক ডোঙ্গা বেয়ে নিকটে এল। ডায়াক জাতি খুব নিরীহ নয়, হয় তো বা ওর। দু'একটা মানুষের মাথা সংগ্ৰহ করতেই আসচে । কিন্তু কাপ্তেন বল্পে, ওরা ডায়াক নয়, মালয় ছেলেমেয়ে, যাত্রীদের কাছে এক-আধট। সেণ্ট চায় সঁতারের কসরৎ দেখিয়ে। আর একটা মোড় ঘুরতেই সী। গারের আমোদ থেকে একেবারে ট্রাজিডির দিকে মন গেল। সেখানে একটা কাঠের তক্তায় বড় বড় অক্ষরে ডাচ ভাষায় লেখা আছে, "WATalk” অর্থাৎ ভগ্ন পোত । ষাট বছর আগে ডাছ গভৰ্ণমেণ্ট সাম্বাসে একটা ছোট কামানবাহী ষ্টীমার পাঠান স্থানীয় সুলতানকে একটু শায়েস্তা করতে এবং শায়েস্ত হবার পরে সুলতানকে রাজকীয় উপাধি দানে সন্মানিত করতে । কামানবাহী ষ্টীমারখানা এইখানে এসে একটা ডুবো পাহাড়ে ধাক্কা লেগে জলমগ্ন হয়—যদিও উভয় তীর খুবই নিকট, তবুও ঈমারের একটি প্রাণী ও বাঁচে শি। সন্ধ্যার সময় আমরা একটা গ্রামে পৌছলাম, সেখানে কয়েকজন ইউরোপীয় থাকেন। তারা আমাকে টিনারের নিমন্ত্রণ করলেন । একজন বৃদ্ধ হাঙ্গেরীয়ান ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ ছোল, তিনি এ দেশীয় একটি মালয় রমণীকে বিবাহ করে সুখে ঘর-সংসার করা ○5{l ভদ্রলোকটি রবারের চাষে দু’পয়সা উপার্জন করেচেন। আমাকে পরদিন সকালে তঁর মোটরে বিশ মাইল দূরবত্তী কৃষ্ঠার বাংলোতে নিয়ে গেলেন । এখানেই তিনি বহুদিন আছেন। নারিকেল-কুঞ্জ ও বোগেনভিলিয়া ঝাড়ের আড়ালে বাংলোপানি ভারী চমৎকার দেখতে । পুব নির্জন জায়গা । তঁর পুকুরে আমরা মাছ ধরতে বসলাম আর তিনি ধূমপান করতে করতে র্তার গত বিশ বৎসরের বোধিও প্রবাসের নানা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলেন। D BD t DBDBD K KL0LS K BB DD DSB S তিনি বল্লেন, ডাচ বোণিওতে এখনও এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে কোনো সভ্য শ্বেতকায় মানুষ কখনও পদার্পণ করে নি। ডাচুদের তৈরী বোৰ্ণিওর ভাল ম্যাপ পৰ্যন্ত নেই। ডাচুঙ্গভর্ণমেণ্ট দেশ-শাসন করেন বটে, কিন্তু চীনারা বোণিও সম্বন্ধে ডাচ্ছদের চেয়ে বেশী জানে। ডাচ ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী এ দেশে আসবার অনেক আগে থেকে চীনারা এ দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য আরম্ভ করেচে, অনেক সময় ডায়াকদের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ করতে হয়েচে বাণিজ্যের পথ সুগম করবার জন্যে। এ দেশে সভ্যতা বিস্তার করতে চীনারা এক সময়ে যথেষ্ট চেষ্টা করেছিল। তারা সুদূর পাৰ্ব্বত্য অঞ্চলে নিজেদেব খরচে স্কুল স্থাপন করে ও ডায়াকদের মধ্যে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারের জন্যে কম যত্ন করে নি। যুদ্ধও তারা অনেক করেচে,