বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

fisi šio SSO এইবার শূকরাটা উনুনে ঝলসাবার যোগ্য বলে বিবেচিত হল। পূদ্ধের দেবতা রাটু রোসীর রাজকীয় রন্ধনশালা ছাড়া এই শূকর অন্য কোথাও রান্ন। হবার নিয়ম নেই। রাটুি রোসির রন্ধনশালার উনুন। একটা গোলাকার পাথর বাধানে কুণ্ড, তার ব্যাস হবে প্ৰায় আট x ، حه ফুট, গভীরত্ব সাড়ে তিন ফুট । এই উনুনের V তলায় একরাশ সরু সরু গাছের ডাল জড় করে আগুন জালিয়ে দেওয়া হয়, এবং ঝুড়ি দুই ছোট ছোট পাথরের নুড়ি ঐ আগুনের মধ্যে রেখে সেগুলোকে উত্তপ্ত করা হয় । পাথরের নুড়িগুলি ঠিকমত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মৃত শূকরটী তার ওপর চাপিয়ে তার চারি পাশের মিষ্ট আলু, টরো মূল, সামুদ্রিক হাঙ্গরের ডানা, বড় কাচা ঝিনুক ইত্যাদি। স্তুপীকৃত করে সাজিয়ে দেওয়া হয়। সবশুদ্ধ মিলে টিমে আঁচে সিদ্ধ হতে থাকে । নিয়ম এই যে, রন্ধন কাৰ্য্য শেষ হলে 9جوه যুদ্ধের” দেবতা রাষ্ট্র রোসি সৰ্ব্বপ্রথম এই কুটীর সম্মুখে উপবিষ্ট বৃদ্ধটি শেষ ফিজিয়ান যে নরমাংসের ভোজে খাদ্য আম্বাদ করবেন। একখানা বড় ছুরি অংশ গ্ৰহণ করিয়াছে । * āha. দিয়ে শূকরের মাংস তিনি কিছু কেটে নিয়ে মুখে তুলে দেবেন। সকলে সেই সময় জয়ধ্বনি করে উঠবে, अश्रव्लवांछ बांख्ठ थांकgद । তিনি এইবার সমবেত প্ৰজাগণকে ভোজে যোগদান করবার অনুমতি দেবেন। : . . ইউরোপীয়গণ ফিজিদ্বীপে পদার্পণ কুরবার পূর্বেও এই উৎসব ঠিক এই ভাবে সম্পন্ন হোত, শুধু শূকরের পরিবর্তে তখন জীবন্তু মানুষকে ঠিক ঐ ভাবেই মাথায় ডাণ্ডা মেরে বধ করা হোত, ঐ ভাবেই আগুনে ঝলসানো হোত এবং মহামহিম যুদ্ধের দেবতা” ঠিক ঐ ভাবেই ছুরি করে সর্বপ্ৰথম সেই নরমাংস আস্বাদ করতেন। তখন অবশ্য মিশনারীদের সঙ্গে এই উৎসবের কোন সম্পর্ক ছিল না, এর নাম ছিল “বোকোলা” অর্থাৎ নরমাংস ভক্ষণের উৎসব । রাজকীয় উনুন থেকে মাংস খাবার ক্ষমতা নেই প্রজাদের। শূকরকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করে তবে তার মাংস সকলের মধ্যে পরিবেশন করা হয়। নারিকেল গাছের শিকড়ে তৈরী বড় বড় ঝুড়ি এই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফিজিবাসীর সাধারণ চুল ছাঁটা যাহা ঐ দেশেরই বৈশিষ্ট্য। (