বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ দ্বীপপুঞ্জ SS. উপকূলের এত কাছ খেসিয়া আমরা চলিয়াছি যেন জঙ্গলের গাছপালার পাতা হাত বাড়াইলেই পাওয়া যায়। এমন সময় জাহাজের লোকে চীৎকার করিয়া উঠিল, “লা সিবা’ । দূরে দিগন্তের কোলে এক পোচ কালো কালির মত কি একটা ব্যাপার দেখা যাইতেছিল বটে। উপকূলে জঙ্গলের ফঁাকে ফঁাকে মাঝে মাঝে গ্রাম দেখা যাইতে লাগিল ; সবুজ নারিকেল-কুঞ্জের মধ্যে পাতায় ছাওয়া ছোট , ছোট কুটীর। দু-একটা কুটীরের ভিতর হইতে সরু ধোঁয়ার রেখা ঘুরিয়া ঘুরিয়া উপরে উঠিতেছে। সম্মুখে ক্ৰমে একটা কাঠ ও লোহার তৈরী জেটি ও জেটিতে न•iंन! श्रफु द्फु भक्षी ऐठांशेबांद्म লৌছযন্ধ স্পষ্ট হইয়া ফুটিতে লাগিল। উপকূলের এই বন্য সৌন্দৰ্য্যের পাশে হঠাৎ এই विश्* अंठiनी श्रद्ध-नडालांद्भ প্রকৃষ্ট চিহ্নগুলি যেন বড় বিসদৃশ ও দৃষ্টিকটু ঠেকিল । সুখের বিষয় এই যে তাহারা জঙ্গলকে ঠেলিয়া দূরে সরাইয়া দিতে পারে নাই, জঙ্গলই তাহাদের চাপিয়া ব্ৰাখিয়াছে । জঙ্গলের ফঁাকে ফঁাকে এক সারি সাদা রংয়ের ঘর বাড়ী, বোধ হয় বা গুদাম কিংবা জেট আপিস । নারিকেল বনের নীচে কালো কয়লার স্তুপ। ইহাদের পিছনে কিন্তু আর কিছু দেখা যায় না, উপকূলের কলার চাষে জলসেচন করা হইতেছে। অপেক্ষাকৃত নিয়া শৈলরাজির পিছনে খুব উঁচু পাহাড়-পৰ্ব্বত, আর কি ভয়ানক জঙ্গল সেই সব পৰ্ব্বতের সানুদেশে। দ্বীপের আভ্যন্তরীণ কোনো দৃশ্য কৌতুহলী বৈদেশিক ভ্রমণকারীর চোখে না পড়ে, সেজন্য প্ৰকৃতি যেন সবুজ যবনিকার আড়ালে ও-দিকটা ঢাকিয়া রাখিয়াছে। উঃ কি ভীষণ গুমটি গরম, এই সকাল বেলাতেই! বেলা এখনও আটটা হয় নাই, কিন্তু এরই মধ্যে রাস্তায় চলে কার সাধ্য ? উষ্ণদেশের প্রচুর স্বৰ্য্যালোক আমাদের পক্ষে একদিকে যেমন অতি লোভনীয়, এই অসহ উত্তাপ তেমনি কষ্টদায়ক। পথের ধারে একটা সৈন্যবাস, কতকগুলি ছন্নছাড়া মৃত্তির সৈন্য তার সামনে প্রভাতিক কুচকাওয়াজের চেষ্টায় আছে। চারি y