যবদ্বীপের আগ্নেয়গিরি SGS মাঝে মাঝে আমাদের পথের পাশে সুউচ্চ প্রস্তরস্তুপ যেন প্রাচীর রচনা করেছে।--তার ওপাশে রজনীর ঘন অন্ধকার। কখনো কখনো দূরে কোন গ্রামের ক্ষীণ আলোক-রেখা । আমাদের ঘোড়ার পা ক্রমাগত পিছলে যাচ্ছিল, পথপ্ৰদৰ্শক ছোকরা দুটো তো ওদের লেজ ধরে ঝুলছেআমরা কোন রকমে চোখ বুজে চলেছি দৈবের উপর নির্ভর করে। এ পথ থেকে বেঁচে ফিরতে যদি পারি। তবে তো পুনর্জন্ম। অনেক দূর গিয়ে আমরা গিরিবক্সে পৌঁছলাম-সেখান থেকে রাস্ত হঠাৎ হাজার ফুট নেমে নীচেকার বালু কাময় সমতল ভূমিতে গিয়ে মিশেছে। এই বালুময় সমতল ভূমিকে এখানে ‘বালির সমুদ্র’ বলে। এটা একটা দেখবার জিনিষ বলে ভ্ৰমণকারী মাত্ৰেই নীচের সমতল ভূমিতে একবার নামে। ওখান থেকে চারিপাশের পর্বতমালা ও দূরে ধূমায়মান ব্রোমো পর্বতের দৃশ্য অতি সুন্দর-অন্ততঃ টমাস কুকের গাইডবইতে তাই লেখে। কুকের গাইড-বইয়ের উপর যত নির্ভর করি আর না করি, এতদূর যখন এসেছি, তখন না নেমে তো ফিরব না। কিন্তু সেই হাজার ফুট “নামতে আমাদের যত কষ্ট হ’ল, এতটা পথ চলে আসতে তত কষ্ট হয় নি। কিন্তু আমাদের পরিশ্রম সার্থক হ’ল সূৰ্য্যোদয়ের অপূর্ব দৃশ্য দেখে-হঠাৎ সুৰ্য্যের আলোয় রাত্রির কুয়াসা অপসারিত হয়ে যে দৃশ্য SKEBBY LD KBDBS DBDLDDD DDDS দের মনে হ’ল আমরা চন্দ্ৰলোকের কোন উপত্যকায় এসে পৌছেছি। এক সময়ে এই বালির সমুদ্র কোন আগ্নেয়গিরির অগ্নিকটাহ ছিল । সমতল ভূমির পূর্বপ্রান্তে বাটক পৰ্ব্বতের মোচার মত চুড়া সুৰ্য্যের আলোতে একটা ব্ৰহ্মদেশের প্যাগোডার চুড়ার মত উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। সমগ্ৰ বিরাট পূৰ্ব্বভারতীয় উপদ্বীপের মধ্যে একমাত্র জাভা ; নিসর্গ দৃশ্য ; পৰ্ব্বত, অরণ্যানী এবং জলময় ধান্তক্ষেত্র। সেফটীভাল্ভ ব্রোমে আগ্নেয়গিরির মৃদু গুরু গুরু শব্দ সকালের কনুকনে শীতল বাতাসে ভেসে আসছে। এমন জায়গায় আর কখনও আসিনি। ডাচ গবৰ্ণমেণ্ট ব্রোমো পৰ্ব্বতের লাভার দেওয়াল কেটে পর্বতচূড়ায় উঠবার প্রায় সাড়ে তিনশো। ধাপ এক সিঁড়ি তৈরী করে দেওয়ায় পৰ্বতে ওঠা অপেক্ষাকৃত সহজ হয়েছে। এই সোপানশ্রেণী বেয়ে আমরা উপরে উঠলাম এবং ব্রোমের বিশাল অগ্নিকটাহের দিকে চেয়ে রইলাম, যেখানে পৃথিবীর গভীর গহবর থেকে মাঝে মাঝে গন্ধকের ধূম ও অগ্নিশিখা বার হচ্ছে। সেখানে দাড়িয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া এক কঠিন ব্যাপার-ঘন গন্ধকের বাম্পে বাতাস ভারী, মাঝে মাঝে ক্রেটার থেকে কুণ্ডলী সাজিয়ে গন্ধকবাষ্প ও ষ্টীম অনেক উপরে উঠে প্ৰভাতের আলোয় সোনালী পাড় দেওয়া মেঘের মত (ficts s এ অঞ্চলের লোকে ব্রোমো পর্বতকে দেবতাঙ্গনে পূজা করে। ডাচ অধিকার স্থাপিত হবার পূর্বে তারা প্রতি বৎসর একটী অবিবাহিত কুমারীকে অগ্নিকটাহের প্রজলন্ত শিখার মধ্যে নিক্ষেপ ক’রে অগ্নিদেবতাকে সন্তুষ্ট রাখত ;
