বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ახrჭ ffä面、西钟、 আমি জানি তোমাদের দেশে লোকে ঘোড়ার মাংস সাধারণতঃ খায় না, কিন্তু খেয়ে দেখলে বুঝতে পারবে, ঘোড়ার মাংস খারাপ জিনিস নয় । আমি বললাম-এ ঘোড়া কি জবাই করা হয়েছে মাংসের জন্তে ? জেদিস প্রতিবাদের সুরে বললে-না না, ঘোড়া আমরা কখনই জবাই করি নে। এত বড় দলের মধ্যে দু’চারটি ঘোড়া প্রায়ই কোন না কোন কারণে মারা পড়েছে, আমরা সেই মাংসই খেয়ে উঠতে পারি নে। একটা ঘোড়ার মাংস কি কম ? কত-খাব ! -কিন্তু চামড়া বিক্ৰী করবার জন্যে তো পশুবধ করতেই হয় তোমাদের। —কখনই না। আমরা বৌদ্ধ, জীবহিংসা আমাদের ধৰ্ম্মে মহাপাপ। এখান থেকে প্ৰতি বৎসর অনেক চামড়া বিদেশে পাঠানো হয় বটে, কিন্তু ওই সব পশুদের শতকরা নব্বইটা কোনো না কোনো কারণে আপনা-আপনি মারা ?itygttà l বাকী দশটা পশু বিধৰ্ম্মীরা কিনে নিয়ে মাংস বা চামড়ার জন্যে বধ করেছে। মঙ্গোলীয় ঘোড়া অত্যন্ত কুষ্টসহিষ্ণু। শীতকালে বরফের আবরণ সরিয়ে তার তলায় যে সামান্য ঘাস থাকে, তাই খেয়ে বেঁচে থাকে। 'স্ক্রিসম্বর ও &ানুয়ারী মাসে যখন তুষারাবী উত্তরবায়ু তাপ নামিয়ে নিয়ে আসে শূন্যাঙ্কের চল্লিশ ডিগ্রি নীচে, তখন তাঁরা এই সুনািচ্ছাদিত মুক্ত আকাশের স্কলায় অবলীলাক্রমে চরে বেড়ায়। · • cपैस्नि झ्ण মােগলদের এক্টগ্রেস-ট্রেন, আঁর দুই কুঁজওয়ালা ব্যাক্ট্ৰীয়ান উটু এদের মালগাড়ী।। একটা সবল উট পিঠে-পাশে+পাউণ্ডবোঝা নিয়ে দিন সত্তর মাইল পথ অনায়াসে অতিক্রম করবে। সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পরে - - । যদি সন্ধ্যার সময় খাদ্য বা জল না মেলে, তাতেও এরা কাতর হয় DS SKSSLLL BB zSDLDK DBDDD D BDBD DBBDBS MEEEB দুই কুঁজে চার পাঁচদিনের উপযোগী খাদ্য সঞ্চিত থাকে, বেশীদিন না খেয়ে থাকলে কঁজ ক্রমশঃ নেমে ঢিলে হয়ে আসে। তখন বোঝা যায় যে, এবার উটকে খেতে দিতে হবে। জেঙ্গিসের তঁবুর কাছে আমি দুটী উট দেখলাম, তাদের কুঁজ একেবারে বসে গিয়েছে। জেদিস বললে, ওরা বহুদূর থেকে পশমের বোঝা নিয়ে আজ দুপুরের পর এসে পৌছেছে। বিশ্রাম করলে তবে খেতে দেওয়া হবে । এক জায়গায় মেষদল চরছে। মেষপালক ঘোড়ার পিঠে তাদের পাহারা দিচ্ছে, তার হাতে পনেরো ফুট লম্বা লাঠি, লাঠির আগায় দড়ির ফাস বাধা । জেঙ্গিস বললে, ভেড়ার দলে নেকড়ে বাঘ পড়লে - - - ঐ দড়ির ফাস কৌশলে নেকড়ে বাঘের গলায় পরিয়ে তাকে ঘোড়ার ভেড়ার লোমের আবরণাচ্ছাদিত শকট । পেছনে হিচড়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। তাতেই সে মারা পড়ে। মোঙ্গলরা নেকড়ে বাঘকে ভয় করে না, রাশিয়ান ও চীনারা নেকড়া বাঘের দল দেখলে পালিয়ে যায় এবং অনেক সময় লোকশূন্ত ষ্টেপি-তে নেকড়ে বাঘের হাতে প্ৰাণ দেয়। কিন্তু, মোঙ্গলরা এগিয়ে গিয়ে নেকড়ে মারবার চেষ্টা করে এবং অনেক সময় জীবন্ত অবস্থায় ধরেও নিয়ে আসে। আমেরিকার বিভিন্ন পশুশালার জন্যে উচ্চমূল্যে এই সব নেকড়ে বাঘ রপ্তানী করা হয়। বৰ্ত্তমানে জাপান অষ্ট্রেলিয়া থেকে পশম আমদানী করে, কিন্তু জাপান চায় মাঞ্চুকুও থেকে পশম নিতে। জাপানে ভেড়া চরাবার জমি নেই, লোকসংখ্যা অত্যন্ত বেশী, তাই আজ বছর দুই হল এখানে মাঞ্চুকুও মেষপালন সমিতি প্ৰতিষ্ঠিত হয়েছে। জাপানী গবৰ্ণমেণ্ট অনেক টাকা ফেলেছে এতে । দক্ষিণ-আমেরিকা থেকে উন্নত ধরণের মেষ আমদানী করা হচ্ছে, কারণ মোঙ্গলীয় ভেড়ার লোম নিকৃষ্টশ্রেণীর। মেরিনো ভেড়ার সাহায্যে উৎকৃষ্ট ভেড়ার বংশ তৈরী করবার .ে চলছে। কয়েকজন জাপানী বিশেষজ্ঞ একাজে নিযুক্ত আছেন।