বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہجs' & oby বিচিত্র-জগৎ জলের মধ্যে সস্তরণশীল তারামাছের ( starfish) মত দেখাচ্ছিল। নদীর নানা শাখা ও খাড়ি জঙ্গলের এদিকে ওদিকে চলে গিয়ে কোথায় অদৃপ্ত হয়েছে, লক্ষ্য করে দেখা গেল, এই সব খাড়ির ধারেই তালগাছ বেশী। এক জায়গায় জঙ্গলের মধ্যে নদী দু’ভাগে ভাগ হয়ে আবার সামনে এসে মিলেছে, নদীর দুই ধারার মধ্যবৰ্ত্তী দ্বীপটিতে জঙ্গল অত্যন্ত ঘন, দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে নদীর দুই ধারা আবার জুড়ে এক হয়ে গিয়েছে ও পরবর্তী কয়েক মাইলের মধ্যে তিনবার নেমে গিয়েছে। সব শুদ্ধ এই তিন জায়গায় নেমেছে।৮০ ফুট। এ থেকেই বোঝা যাবে নদীর চেহারা এখানে কি ভীষণ । যেমন স্রোত, তেমনি আবৰ্ত্ত । আমরা তো হাইড্রোপ্লেনে ত্ৰিশ মিনিটের মধ্যে এর উপর দিয়ে উড়ে গেলাম, আমাদের খাদ্যসম্ভার নিয়ে আসাছিল যে দু’খানা নৌকা বোয়া ভিষ্টা থেকে-এই জায়গাটুকু পার হতে তাদের লাগল পাঁচ দিন, মারাক দ্বীপ এবং ঐ তিনটে র্যাপিড (rapid) পার হয়ে নদীর চেহারা সমানই ভয়ঙ্কর। মাঝে মাঝে ছোটখাট প্ৰস্তরময় দ্বীপ, তাদের মধ্যে খরস্রোতা নদী ভীম মুক্তি ধরে ঘোর আবৰ্ত্ত, স্মৃষ্টি করে বইছে। সে নদীতে নৌকা চালানো মানে মৃত্যুকে বরণ করা। এমন কি স্থানীয় অসভ্য ইণ্ডিয়ানরা পৰ্য্যন্ত এই সব জায়গায় ভেলা চালায় না-স্বেচ্ছায় কে এই মৃত্যুর ফাঁদে পা দেবে ? তিন ঘণ্টা কুড়ি মিনিট ধরে অনবরত আকাশপথে উড়ে বেড়ালাম, নীচে কোথাও একটা মানুষ চোখে পড়ল না। আমরা বোয়াভিষ্ট সহরে ফিরে আসতে বাধ্য হ’লাম, কারণ হস্তাসোলিন ও খাবারের ভাণ্ডার ফুরিয়ে এসেছে, তা ছাড়া নদীর ষা দৃশ্য দেখেছি, তাতে আকাশপথে উড়ে ও পথে যাওয়াও যে খুব নিরাপদ, তা নয়। যদি এঞ্জিন আচল হয়, তবেই সৰ্ব্বনাশ ! সেই ফেনোচ্ছিল আবৰ্ত্তের মধ্যে হাইড্রোপ্লেন নামালে চোখের নিমেষে সেটা ঘুরপাক খেতে খেতে বানচাল হয়ে পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা লেগে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে, ওর এক টুকরো কাঠের সন্ধানও পাওয়া জানুয়ারী মাসে ইউরারিসোরা নদীর ওপার দিয়ে আমরা দক্ষিণ-পূর্ব মুখে হাইড্রোপ্লেন চালাই। বড় বিপদে পড়তে হয়েছিল এবার। ইণ্ডিয়ানদের সঙ্গে আমরা পূর্বেই ব্যবস্থা করেছিলাম, কুলিকুলিমা বলে একটা ছোট দ্বীপে নেমে সেখানকার একটা অদ্ভুতদৰ্শন পাহাড়ের ফটো নেব। হিণ্টন হাইড়োপ্লেনটা নামিয়ে দিলেও ভাল, তার পর সেটাকে জলের উপর দিয়ে দ্বীপের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, হঠাৎ মছু করে কি একটা শব্দ হ’ল। তখন হাইড্রোপ্লেন বা কাতে মাতালের মত ঝুকে পড়ল। ' ' ' হিণ্টন বলে উঠল-গেল ! / আমি বললাম কি হ’ল, দেখ আগে । সে ভীষণ স্রোতের মধ্যে দেখার কোন উপায় ছিল না। কিন্তু সুখের বিষয়, হাইড্রোপ্লেন নিজেকে নিজে একটু সামলে নিতেই হিণ্টন এঞ্জিন বন্ধ করে দিলে। একটা মগ্ন শৈলে এসে ঠেকছে আমাদের যন্ধটা । হিণ্টন বললে-হাইড্রোপ্লেনের তলা চিরে জল উঠছে, এ অবস্থায় যদি ওকে ডাঙ্গায় নিয়ে যাই, এই নির্জন জঙ্গলের মধ্যে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে কয়েক সপ্তাহ। এখানে প্লেন সারান একরকম অসম্ভব। চল এই অবস্থায় উড়ে বোয়া এস্পারানসাতে যাওয়া যাক । তখনই আমরা জল ছেড়ে আকাশপথে উঠলাম। কিন্তু ভাঙা হাইড্রোপ্লেনে দেড় শো মাইল দূরবর্তী বোয়া এস্পারানসা পৰ্যন্ত আমরা নিরাপদে পৌছুতে পারব কি না তা গুরুতর সন্দেহের বিষয়। এ দিকে বিকেল হয়ে এসেছে, সুৰ্য্যাস্তের বিলম্ব নেই বেশী, বেলা থাকতে গন্তব্য স্থানে পৌছান দরকার, নতুবা পথে বিপদ আছে। शा उश्न कन्ना हिञ्चछिल, घछेल७ ऊाहे ।