বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS 0 ff面-百宋 পিপড়ে আর উই যে কত রকমের তার সংখ্যা হয় না। কালো পিপড়ে, লাল পিপড়ে, ছোট ছোট পিপড়ে, বড় বড় পিপড়ে । তাদের সর্বত্র অবাধ গতি এবং সব জিনিস তারা খেয়ে ফেলবে । জঙ্গলের হিংস্ৰ জানোয়ারের চেয়েও তারা মানুষের বেশী শত্রু । উইও নানা জাতীয়, আমাদের হাইড্রোপ্লেনের মেহগনি কাঠের অংশটুকু কোন কালে তারা খেয়ে সাবাড়ি করে ফেলত, কিন্তু ওর উপর রং করা ছিল বলেই শুধু পারে নি। এগার দিন পরে হাইড্রোপ্লেন মেরামত করে আমরা বোয়া এসপারানুস। অভিমুখে উড়লাম। শেষের তিন চার দিন আমাদের ঠাকুতে খাদ্যদ্রব্য ফুরিয়ে গিয়েছিল, চিনি ছিল না, নুন ছিল না। আমি ও হিণ্টন নদীতে মাছ ধরতাম ও তাই পুড়িয়ে, কি সিদ্ধ করে বিনা লবণে খেয়ে ক্ষুধিবৃত্তি করতে হ’ত । পথে যেতে যেতে নীচের দিকে চেয়ে দেখি, আমাদের বিপদ অনুমান করে বোয়া এসপারানাসা থেকে একটি দল ডোঙায় ও নৌকাতে আমাদের সন্ধানে নদী বেয়ে চলেছে। সহরে পৌছেই আমি ওদের খবর দিতে রওনা হই ডোঙায় চেপে, কারণ ওরা আমাদের দেখতে পেয়েছে কি না বোঝা গেল না । একটু পরে হাইড্রোপ্লেনের মোটরের আওয়াজ শুনে চেয়ে দেখি, হিণ্টন আবার কোথায় চলেছে। হিণ্টন আমাদের দেপে টিনের কৌটার মধ্যে আমাদের কি খবর পাঠালে, সে কৌটা। জলে পড়ে খরস্রোতে কোণায় ভেসে গেল, আমি ও আমার ইণ্ডিয়ান কুলীরা খুঁজে বার করতে পারলাম না । পরে শুনলাম, উইলিয়ামসন বলে আমাদের দলের একজন ছোকরা আটষ্টকে সঙ্গে নিয়ে হিণ্টন একটু বেড়াতে বার হয়েছিল। সেই বেড়ানোর জের মিটাল এক মাস পরে। হাইড়োপ্লেনের এঞ্জিন খারাপ হয়ে কোথায় কোন জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে অচল হয়ে পড়ল। হিণ্টন ও উইলিয়ামসনের কোন পাত্তাই নেই। অনেক কষ্টে তাদের খুজে বার করা হ’ল। হাইড্রোপ্লেন সেই জঙ্গলে মেরামত করা হ’ল। তবে এক মাস পরে ওর ভ্রমণ শেষ করে তঁবুতে ফেরে। t