বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলের তলায় নূতন জগৎ ఫిలిపి জাপান-সমুদ্রে এক রকম বৃহদাকার রাক্ষ্মসে কঁকুড়া আছে, তার পিঠের খোলায় দৈত্যের মুখের মত নাক চোখ আঁকা-সামুৱাই যুগের অনেক বিকটাকার যুদ্ধের দেবতার মুখ এই কঁকুড়া থেকে পরিকল্পিত। দক্ষিণ প্ৰশান্ত মহাসমুদ্রে অদ্ভুত ধরণের সামুদ্রিক জীব ও প্রশ্নল অপেক্ষাকৃত অগভীর জলেই দেখতে-পাওয়া যায়। হাওয়াই দ্বীপ থেকে আরম্ভ করে অষ্ট্রেলিয়ার গ্রেটবেরিয়ার রীফ, Great Barrier Reef পৰ্যন্ত সমস্ত স্থানটি ছোটখাটো নানা ধরণের প্রবাল দ্বীপে ভরা। এত ধরণের, এত স্নাংঞ্জের প্রবাল, ঘোড়া মাছ, ঝিনুক, সামুদ্রিক উদ্ভিদ। এ অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় যে, এ অঞ্চলকে ডুবুরীর স্বৰ্গ বলা যেতে পারে। . প্রত্যেক জীমতত্ত্ববিদ পণ্ডিতের উচিত। অন্ততঃ জীবনে একবারও যেন দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের কোন প্রবাল-দ্বীপের নিকট স্থিয় জলে ডুব দিয়ে দেখবার সুযোগ খুঁজে নেওয়া। খুব বড় আটষ্ট এ সব অঞ্চলের সমুদ্রগর্ভের সমগ্র রূপ একটি হাজার ছবি একেও বােঝাতে পারবেন না । . - অষ্ট্রেলিয়ার এই অঞ্চলে সমুদ্রগর্ভে এক ধরণের বড় ঝিনুক আছে। তাদের খোলা পাঁচ ফুট লম্বা, ওজনে অনেক সময়ে ছ’মণ পৰ্যন্ত হয়। এরা সমুদ্রের মধ্যে গুহায় লুকিয়ে থাকে- এদের খোলার ওপরে সবুজাভ কালো ছাতলা জমে থাকে বলে পাথরের স্তুপের মত দেখায়। দৈবাং কোন ডুবুরির পা যদি তার খোলার ফঁাকে পড়ে, তবে ইদুরকলের মত তখনি ওপরকার খোলাটা ঝাপ করে বন্ধ হয়ে যায়। ডুবুরির সাধ্য থাকে না পা ছাড়িয়ে নেবার। মুক্ত তুলুবার সময় কত অনভিজ্ঞ ডুবুরি এভাবে প্ৰাণ হারিয়েচে ।”