পাতা:বিজয়া - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о বিজয়ী ଓ2ସ୍ଥ୍ୟ ଅଞ୍ଛ বিজয়ী পা বাড়াইয়াছিল। বিদ্যুৎ বেগে ফিরিয়া দাড়াইয়া পলকমাত্র বিলাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া নিঃশব্দে ঘর হইতে চলিয়া গেল। এমনি সময বৃদ্ধ রাসবিহারী ধীরে ধীরে প্রবেশ করিতেই পুত্ৰ বিলাসবিহারী লাফাইয়া উঠিল বিলাস। বাবা, শুনেছ। এইমাত্র কি ব্যাপার ঘটলো ? পূৰ্ণগাঙ্গুলী এবারও ঢাক ঢোল কঁাশী বাজিয়ে দুর্গাপূজা করবে, বারন করা চলবে না। এইমাত্র তার কে একজন ভাগ্নে এসেছিল প্ৰতিবাদ করতে, বিজয়া তাকে হুকুম দিলেন পূজো হোক । রাসবিহারী। তা তুমি এত অগ্নিশৰ্ম্মা হয়ে উঠলে কেন ? বিলাস । হব না ? তোমার হুকুমের বিরুদ্ধে হুকুম দেবে বিজয়া ? এবং আমার আপত্তি করা সত্ত্বেও ? রাস । কিন্তু এই নিয়ে তার সঙ্গে রাগারগি করলে নাকি ? বিলাস । কিন্তু উপায় কি ? আত্মসম্মান বজায় রাখতেরাস। দেখ বাপু, তোমার এই আত্মসন্মান বোধটা দিনকতক খাটো কর, নইলে আমি তো আর পেরে উঠি নে । বিযেটা হয়ে যাক, বিষয়টা হাতে আসুক, তখন ইচ্ছে মতো আত্মসম্মান বাড়িয়ে দিও, আমি নিযেধ করব না । বিজয়ার প্রবেশ বাসবিহারী । এই যে মা বিজয়ী । বিজয়া । আপনাকে আসতে দেখে আমি ফিরে এলুম কাকাবাবুT শুনে হয়তে আপনি রাগ করবেন, কিন্তু মোটে তিন দিন বইতো নয়, হোকুগে গোলমাল-আমি অনায়াসে সইতে পারবাে, কিন্তু গাঙ্গুলী মশায়ের দুৰ্গা পূজায় বাধা দিয়ে কাব্য নেই। আমি অনুমতি দিয়েছি। রাস। সেই কথাই বিলাস আমাকে বোঝাচ্ছিলেন । বুড়ো মানুষ, শুনে হঠাৎ চঞ্চল হয়ে উঠেছিলুম যে ভবিষ্যতে এরকম পুনৰ্বার ঘটলে