বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিদ্যাপতি ঠাকুরের পদাবলী - নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/ولالا পৰকল্পতরুতেই ৩৫০ এর উপর পদ পাওয়া যায়। গীতচিন্তামণিতেও বিদ্যাপতির অনেকগুলি পদ আছে ; किछु ॐांशंब्र वजिब्रां स्रांश्वब्रां खांनि नां । বিষ্ঠাপতি মিথিলাবাসী এবং যতগুলি পদ ভঁtহার রচিত বলিয়া প্রমাণিত হয় সে গুলি যে মিথিলার প্রাপ্য ও বৈষ্ণব কাব্যে মিথিলার একটি প্রধান অংশ আছে এ কথা স্বীকার করিতে আমাদের কোন আপত্তি নাই। একটা মুস্কিলের কথা এই যে মিথিলার পক্ষ হইতে কেহ কোন দাবী করে না । বিভাপতি ষে মিথিলাবাসী এ কথাও মিথিলীর কোন লেখক আমাদের সাক্ষাতে উপস্থিত করেন নাই। বাঙ্গালীর অনুসন্ধানেষ্ট এ সংবাদ প্রথমে জানা যায়। চেষ্টা ও পরিশ্রম করিয়া মিথিলায় অনুসন্ধান করিলে বিদ্যাপতির বিস্তর পদ পাওয়া যায় এবং তাছার সম্বন্ধে অনেক জানিতে পারা যায়, কিন্তু আমরা যদি বিদ্যাপতিকে বঙ্গবাসীই বলিয়া আসিতাম তাছা হইলেও বোধ হয় মিথিলা হইতে কোন প্রতিবাদ আসিত না। কেবল পুরুষপরীক্ষার ভূমিকায় চন্দ্র কবি লিখিয়ছেন কবি বিদ্যাপতির গীতাবলী দেশান্তরে মুদ্রিত হওয়াতে অত্যন্ত অশুদ্ধ হইয়া গিয়াছে। বঙ্গদেশের নাম পৰ্য্যন্ত করেন নাই ! এই উপেক্ষ ও ঔদাসীন্তে বিস্ময়ের কোন কারণ নাই, কারণ মিথিলার কাছে বঙ্গদেশ নিতান্ত শিশু । মিথিলার কবিকেট আমরা বাঙ্গালার আদি কবি বলিয়া গৌরব করি। চন্দ্র কবির সহিত বিদ্যাপতির ভাষা সম্বন্ধে আমার পত্রাদি বিনিময় হয়। তিনি বলেন বিদ্যাপতির ভাষার আকার নানা, কোথাও প্রাকৃতের মত অথচ কোন প্রাকৃত তাহাও নির্ণয় করা যায় না। মিথিলার উত্তরে নেপালের তরাইয়ে সে কালে যে ভাষা প্রচলিত ছিল তাঁহাকে মোরঙ্গ ভাষা বলিত। দেশেরও নাম মোরঙ্গ। বিদ্যাপতির গীতে সে দেশের ভাষা মিশ্রিত আছে এবং কোন কোন পদে ‘পাহাড়ী মোরঙ্গ’ বলিয়া গানের সুর দেওয়া আছে । ইহা ছাড়া বিদ্যাপতি গৌড় ভাষাও কিছু ব্যবহার করিতেন। পাঠ নির্ণয় লঙ্গদেশে প্রচলিত বিদ্যাপতির পদাবলীর শুদ্ধ পাঠ নির্ণয় করিতে হইলে কয়েকটী কথা স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য। কবি মিথিলাবাসী এবং মিথিলা ভাষায় পদ রচনা করিয়াছিলেন। সে ভাষা কতক বাঙ্গালী ভাষার অনুরূপ বলিয়া আমরা অনেকটা বুঝিতে পারি কিন্তু মিথিলা ভাষা জানা না থাকিলে সকল পদ উত্তমরূপে বুঝিতে পারা যায় না। উক্ত ভাষার অনভিজ্ঞতাষ্ট এ দেশে পাঠবিকৃতি ঘটিবার একটী প্রধান কারণ । পদাবলীর লিপি প্রণালী সংস্কৃত অনুযায়ী নয়। বিদ্যাপতি সংস্কৃত ভাষায় প্রগাঢ় পণ্ডিত ছিলেন, এবং ঐ ভাষায় তাহার রচিত বিস্তর গ্রন্থ আছে। কিন্তু পদ রচনায় তিনি সংস্থতলিপি অথবা ব্যাকরণের নিয়মাবলী রক্ষণ করেন নাই। স্তানে স্থানে প্রাকৃতের লিপি প্রণালীর অনুবৰ্ত্তী হইয়াছেন, অনেক স্থানে লিপি প্রণালী তাহার স্বেচ্ছাকৃত। মিথিলার সেট প্রাচীন প্রণালী প্রচলিত আছে, পুরাতন পুথির লিপি কেছ পরিবর্তন করে না। বঙ্গদেশেও প্রথমে সেই লিখনপ্রণালী প্রবর্তিত ছিল। ক্রমে যেমন যেমন স্বতন্ত্র সংস্করণ হইয়াছে এ দেশের সম্পাদক ও সঙ্কলনকারগণ পুরাতন লিপি অশুদ্ধ বিবেচনা করিয়া সংশোধন করিয়াছেন। তাঁহাতে ছন্দের দোষ ঘটিয়াছে। এ দেশে আবৃত্তি কালে হ্রস্ব দ্বীর্থের প্রভেদ রক্ষিত