প্রাণ গৃহস্থের স্ত্রীপুত্রের মুখাবলোকন সুখ হইতে বঞ্চিত হওয়ার কান্না নয়। এ কান্না মাতাও ভ্রাতার মনোকষ্ট হইবে,তাহা ভাবিয়া - নিজের কর্ত্তব্য সাধন হইবে না, তাহা ভাবিয়া। এ অন্তরের বড় পবিত্র কান্না, এ কান্না ভগবান শুনেন। পর দিন বিদ্যাসাগর মহাশয় কলেজে গিয়া অধ্যক্ষকে বলিলেন, আপনি আমাকে অবকাশ দিন; যদি না দেন তাহা হইলে এই কর্ম্ম পরিত্যাগ করিলাম। ইহাতে সাহেব চকিত হইলেন, ব্যাপারটা কি? বিদ্যাসাগর তিন চারি দিন ছুটীর জন্য কার্য্য ত্যাগ করেন। অগত্যা সাহেব ছুটী মঞ্জুর করিলেন। যেমন ছুটী মঞ্জর হওয়া অমনি সেই পথে সোজা বাটী যাত্রা। পথ অনেক, কিন্তু ক্ষমতা ততোধিক। ক্রমাগত ত্রুতপদে চলিলেন। একে বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাহাতে দ্রুতপদে, যাঁহারা তাঁহার গতি জানিতেন তাঁহারাই বুঝিতে পারিবেন, এ গতি সহজ নহে। সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করিয়া দামোদরের কূলে যখন উপনীত হইলেন, তখন
পাতা:বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ - শিবাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য.pdf/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর-প্রবন্ধ।
৩৭