বৃষ্ণিবংশাবতংসায় কংসধ্বংসবিধায়িতে
দৈতেয়কুলকালায় গোপালায় নমোহস্ত মে॥ ৪॥
নবনীতৈকচৌরায় চতুৰ্বর্গৈকদায়িনে।
জগদ্ভাণ্ডকুলালায় গোপালায় নমোহস্ত মে॥ ৫॥
ইহাতে বিদ্যাসাগর মহাশয় আর এক শক্তির পরিচয় দিয়াছেন। তিনি যে শ্লোকের পাদপুরণ করিতে পারিতেন, পাঠক এখানে তাহারও প্রমাণ পাইলেন। এ কবিতায় গোপালের প্রতি ভগবদ্ভাব প্রকটিত।
তর্কালঙ্কার মহাশয়ের অনুরোধে আর একবার সরস্বতী পূজার সময় ঈশ্বরচন্দ্র নিম্নলিখিত রসপূর্ণ কবিতাটী লিখিয়াছিলেন,—
লুচী-কচুরী-মতিচুর-শোভিতং
জিলেপি-সন্দেশ-গজ-বিরাজিতম্।
যস্যাং প্রসাদেন ফলারমাপ্নুমঃ
সুস্বতী সা জয়তান্নিরন্তরম্॥”
কবিতটির রচনা সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় এইরূপ লিখিয়াছেন,—
“শ্লোকটী দেখিয়া পূজ্যপাদ তর্কালঙ্কার মহাশয় আহ্লাদে পুলকিত হইয়াছিলেন এবং অনেককে ডাকাইয়া আনিয়া স্বয়ং পাঠ করিয়া শ্লোকটী শুনাইয়াছিলেন।”[১]
অল্পায়তনে কি সুন্দর রস-রচনা! ভবিষ্যৎজীবনে কিন্তু এরূপ রচনায় পরিচয় দিবার সুযোগ ঘটে নাই। রসরচনার সে পরিচয় নাই থাকুক; রসালাপের প্রসিদ্ধি অপ্রতুল নয়।
- ↑ “সংস্কৃত রচনা” পুস্তক, ১৬ পৃষ্ঠা।