পাওয়া যায়। যাহাই হউক, “বেতালে"র আদর প্রথমে হউক বা না হউক, যখন ইহা আদরণীয় হইয়া উঠে, তখন অনেকে বেতালের অনেক অংশ মুখস্থ করিয়া রাখিতেন।
“বেতালে"র প্রথম কয়েক সংস্করণে বিরাম-চিহ্ন অর্থাৎ কমা, সেমিকোলন প্রভৃতি ব্যবহৃত হয় নাই; পরে সাধারণের সুবিধার্থ ব্যবহৃত হয়। ফোর্ট উইলিয়ম্ কলেজের জন্য কর্ত্তৃপক্ষ তিন শত টাকা দিয়া একশত খণ্ড বেতাল ক্রয় করিয়াছিলেন।
কয়েক বৎসর পূর্ব্বে ৺ মদনমোহন তর্কালঙ্কারের জামাতা ৺ যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ এম্ এ, তর্কালঙ্কার মহাশয়ের জীবনচরিত লেখেন। এই জীবন-চরিতের ৪২ পৃষ্ঠায় “বেতাল"-সম্বন্ধে নিম্নলিখিত কয়েক ছত্র লিখিত হয়,—
“বিদ্যাসাগর-প্রণীত 'বেতাল-পঞ্চবিংশতি'তে অনেক নূতন ভাব ও অনেক সুমধুর বাক্য তর্কালঙ্কার দ্বারা এতদূর সংশোধিত ও পরিমার্জ্জিত হইয়াছিল যে, রোমাল্ট ও ফ্লেচরের লিখিত গ্রন্থ গুলির ন্যায় উহা উভয় বন্ধুর রচিত বলিলেও বলা যাইতে পারে।”
বিদ্যাসাগর মহাশয় এ কথা স্বীকার করেন নাই। তিনি বলেন, শ্রীযুক্ত গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ও মদনমোহন তর্কালঙ্কারকে “বেতাল” পড়াইয়া শুনান হইয়াছিল মাত্র। তাঁহাদের কথামতে দুই একটী শব্দ মাত্র পরিবর্ত্তিত হইয়াছিল, ইহার প্রমাণার্থ তিনি ৺ গিরিশ চন্দ্র বিদ্যারত্নকে এই পত্র লেখেন,—
অশেষগুণাশ্রয়
শ্রীযুক্ত গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ভ্রাতৃপ্রেমাস্পদেষু
সাদরসম্ভাষণমাবেদনম্
তুমি জান কি না বলিতে পারি না, কিছু দিন হইল, সংস্কৃত