পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



ঊনবিংশ অধ্যায়।

স্বাধীন জীবনের আভাস, ওকালতির প্রবৃত্তিত্যাগ, পিতামহীর মৃত্যু, পিতামহীর শ্রাদ্ধ, মন্ত্র গ্রহণে অপ্রবৃত্তি, আচার-অনুষ্ঠান, সংস্কৃত যন্ত্র ও ডিপজিটরী, পরোপকার ও উপকারে অকৃতজ্ঞতা।

 সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপালের পদ-পরিত্যাগ, বিদ্যাসাগরের পক্ষে মঙ্গলপ্রদ হইল। পরবর্ত্তী জীবন-ঘটনা তাহার প্রমাণ। পরপদসেবায় মানব-জীবনের আত্মোৎকর্ষ-সাধন সহজে সম্ভবপর নয়। রূদ্ধদ্বার পিঞ্জরে আবদ্ধ সুন্দর শুকের যে অবস্থা, পরপদসেবী মানুষের অবস্থা তো তদতিরিক্ত নয়। স্বাধীন প্রাণে স্বাধীনভাবে কার্য্যপ্রসারণে কার্য্যবীরের যে সুবিধা, পরাধীন প্রাণে সে সুবিধা নাই। স্বাধীন প্রাণ মুক্ত পথে প্রধাবিত হয়। মানব-জীবনের উৎকর্ষ ও উন্নতি তাহাতেই আছে। যিনি যে পথে যাউন না কেন, মানুষ, আপন বুদ্ধিবশে, এক পথ দিয়া গিয়া স্বাধীন জীবনপ্রবাহে পার্থিব সুখের চরম সীমায় পৌছিতে পারে; আবার অন্য পথে গ্রিয়া অপর্থিব সুখের অন্তিম পর্য্যন্ত পাইতে পারে। সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল পদ পরিত্যাগ করিবার পর হইতে, বিদ্যাসাগর মহাশয়, স্বাধীন প্রাণে কার্য্য করিবার শত শত পথ আবিস্কার করেন। সে সকল পথ, ঐহিক প্রীতি-প্রতিষ্ঠার সম্যক্ অভিমুখী স্বাধীনভাবে কার্য্য করিতে পাইয়াছিলেন বলিয়া, বিদ্যাসাগর মহাশয়,